
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
মূল্যবোধের অভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। সামাজিক জীবন হয়ে উঠছে বিষাদগ্রস্ত। সম্পর্কের জায়গাতেও টানা পোড়েন। এই ডিজিটাল যুগে জাগতিক কৃত্রিমতা ঘিরে ফেলেছে আমাদের শিশুদের। মোবাইল ফোন,কম্পিউটার এসবে আসক্ত হয়ে জীবনের প্রয়োজনীয় মূল্যবোধটুকু শিখছে না তারা। আপনার সন্তানকে সুন্দর আগামী দিতে সবার আগে মূল্যবোধ জাগ্রত করা জরুরি। একটু ভিন্ন চিন্তা করলেই আপনি তা করতে পারেন সহজেই।
নিয়মানুবর্তিতা
নিজেদের জীবনকে ইতিবাচক ছন্দে বেঁধে ফেলুন। নিয়মের আওতায় রাখতে চেষ্টা করুন। ভুল করলে শাস্তি দেওয়ার বদলে, বুঝিয়ে বলুন। পড়াশোনার কাজে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার এখন অত্যাবশ্যক। কিন্তু তা যেন কখনও অভ্যাসে পরিণত না হয়।
পছন্দের গুরুত্ব
সন্তানের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। এই অভ্যাসের ফলে সে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবে। ঠিক-ভুল বিচার করার সহজাত ক্ষমতাও গড়ে উঠবে। এভাবে ভেতরে জাগ্রত হবে মূল্যবোধ।
পথপ্রদর্শক
বাড়িতে হোক বা বাড়ির বাইরে, সন্তান সব চেয়ে বেশি অনুসরণ করে তার মা-বাবাকে। তাই অভিভাবক হিসেবে আপনি যা করবেন, সে-ও তাই শিখবে। মা-বাবার ইতিবাচক আচরণ, ব্যবহার সন্তানকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে। আপনি যদি মোবাইল কিংবা ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সন্তানও তাই শিখবে। সন্তানকে যা শেখাতে চান, তা আগে নিজে পালন করার চেষ্টা করুন।
বাড়ির পরিবেশ
মানসিক বিকাশের সময়ে বাড়ির পরিবেশও কিন্তু শিশুদের প্রভাবিত করে। কোন শিশু কেমন পরিবেশে বেড়ে উঠছে তা তার আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বাড়ির পরিবেশকে যতটা সম্ভব শিশুর বিকাশের উপযোগী রাখুন।
দায়িত্ব নিতে শেখান
বাড়ির ছোট ছোট জিনিসের দায়িত্ব নিতে শেখান সন্তানকে। বয়সে ছোট বলে তাকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। বড় বয়সে যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তার জন্য ভিত মজবুত করতে হবে ছোট থেকেই।
Posted ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin