বাদশা মিয়া, রংপুর জেলা প্রতিনিধি : | রবিবার, ২১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
পাড় ভাঙার শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় নদীবহুল বৃহত্তর রংপুরের জেলাগুলোতে। তিস্তা ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা সহ ছোট বড় অর্ধশত দিক নদ নদীর ভাঙ্গন রোধ ও বর্ণা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনেকটাই ভঙ্গুর এসব জেলায়। শুষ্ক মৌসুমে করার পুড়ে চৌচির হয় ক্ষেত ,আর বর্ষায় বান ভাসিয়ে নেয় সব।
দারিদ্র্যের চোরাবালিতে কেবলই যেন ডুবতে থাকে প্রায় দেড় কোটি জন অধ্যুষিত এর জনপদ। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের সবচেয়ে দারিদ্র পীড়িত ১০ জেলার শীর্ষে রয়েছে বৃহত্তর রংপুরের কুড়িগ্রাম ,গাইবান্ধা ,নীলফামারী লালমনিরহাট ও সদর। এর পিছনে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে নদী ভাঙ্গন আর বন্যাকে
সারা বছরের দুর্যোগ দূর্বিপাক নাকানি, চুবানি খেয়ে কোন রকম বেঁচে থাকলেও এসব এলাকার মানুষ সুযোগ পান না না উঠে দাঁড়াবার ! ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানো ছাড়া এছাড়াও বড় কোন প্রস্তুতি নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এ অবস্থায় তিস্তা সহ বিভিন্ন নদ-নদীর স্থায়ী ব্যবস্থাপনার জন্য আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এ অঞ্চলের মানুষ। গত ৬ মে রংপুর নগরীতে বড় ধরনের সমাবেশের পর জুন মাসজুড়ে নানা কর্মসূচি দিয়েছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
সরে জমিনে দেখা যায় ভাঙ্গন প্রবন নদ-নদী গুলোর বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে ছোটখাটো জরুরি কিছু কাজের প্রস্তুতি ছাড়া বড় কোন পরিকল্পনা নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল রংপুরের তথ্যাবদে প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, এ অঞ্চলে এখনো বসা আসেনি হয়নি বন্যাও। ভাঙন প্রবনতা দেখা দিলে তা প্রতিরোধ কাজ ও শুরু হবে তাৎক্ষণিক। এজন্য বেশকিছু জিও ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে।
নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বলেন, সমস্যার স্থায়ী সমাধান নদী ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির দাবিতে বিশেষ করে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। এজন্য আগামী বাজেটেই পর্যাপ্ত বরাদ্দ চান ত্রিস্তর বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
তিনি আরো বলেন, তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রয়োজন ১০ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সাহায্য নয় পদ্মা সেতুর মতো নিজেদের টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবীতে জুন মাসজুড়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে চলছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
Posted ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin