নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হয়। সেই ত্রাণ নিয়ে রোববার সকালে একই ঘরে থাকা সানজিদা, তার স্বামী ও দেবর নুরুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দেবর নুরুল ইসলাম ভাবি সানজিদাকে ঘুষি মারেন। এতে সানজিদা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের টেকনাফের দ্বীপ ইউনিয়ন সেন্টমার্টিনে। সানজিদা সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী নজির আহমদের স্ত্রী। তবে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান দাবি করে বলেন, ত্রাণ নিয়ে উত্তেজনার কারণে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান সানজিদা।
স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দুই হাজারের বেশি বসতঘর ভেঙে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে। শনিবারও ত্রাণ দেওয়া হয়। সেই ত্রাণ নিয়ে একই ঘরের ভেতর থাকা সানজিদা, তার স্বামী ও দেবর নুরুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দেবর নুরুল ইসলাম ভাবি সানজিদাকে ঘুষি মারেন। এতে সানজিদা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্পিডবোটে সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাসালি বিনতে ফয়েজ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। পরে স্বজনরা তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, শনিবারের দেওয়া ত্রাণ নিয়ে কোনো কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সানজিদা মাটিতে লুটে পড়েন বলে জেনেছি। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সানজিদা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, ত্রাণ নিয়ে পাবারিবারিক কলহের পর দেবর-ভাবির মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে অসুস্থ সানজিদা আর উঠতে পারেননি। হৃদরোগে ভুগছিলেন বলেই সম্ভবত তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
Posted ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin