নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পুলেরঘাট সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেলাব-মনোহরদী দুটি উপজেলার জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন পুলেরঘাট সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করছে। ১৯৭২ সালে সেতুটি নির্মিত হয়।
ছোট বড় যেকোনো যান সেতুটির ওপর উঠলেই কাঁপন ধরে। সেতুটির মাঝে ফাটল ধরেছে অনেক আগেই, সম্প্রতি রেলিংগুলোও ভেঙে পড়েছে। এখন যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও সেতুটির পিলারের নিম্নভাগের ইট খসে গেছে। মাঝখানের তিনটি পিলারই চরম ক্ষতিগ্রস্ত। সেতুর খুঁটি থেকে ফাটল ও প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে সেতুটির মাঝখানে প্লাস্টার উঠে গিয়ে খানাখন্দ, ফাটল ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
দুই উপজেলার মানুষের নিয়মিত যাতায়াত ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া, কুলিয়ারচর, কটিয়াদি, বাজিতপুর, অষ্ট্রগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার লোকজন এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।
কিছু দিন আগে বেলাবো উপজেলার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম সেতুটি পরিদর্শন করে এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেতুর উভয় পার্শ্বে দুটি সাইনবোর্ড ও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি আবেদন করেছিলেন।
ব্রিজ সংলগ্ন ভাবলা গ্রামের শিক্ষক সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে পুনর্গঠনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় এ সেতুটি স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করেছিলেন। প্রায় ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এটি পুনর্নির্মাণ জরুরি।
আসবউদ্দিন খন্দকার বলেন, সেতুর মাথায় একসময় বাবুর বাজার ছিল। এখানে কয়েক উপজেলার কাঁঠাল বিক্রি হতো। সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে।
পাটুলী ইউপি চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল হক জানান, সেতুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে।
Posted ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin