
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
সিলেটে ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতাকে খুন করে ৭ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের ধোপাদিঘীর পূর্বপাড় এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে মিশনে অংশ নেন পাঁচজন যুবক।
ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর শিবগঞ্জ সাদিপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে রাহাত রাব্বি, একই এলাকার রিন্টু দাসের ছেলে সৌরভ দাস এবং টিলাগড় ১ নম্বর সড়কের ভাটাটিকর এলাকার আলমাছ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান শুভ।
নিহত সবজি বিক্রেতা গোবিন্দ দাস সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার বড়গাঁও এলাকার গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে। তিনি নগরীর আখালিয়া নতুন বাজার রাংকু দাসের বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় সবজি বিক্রি করে দিনাতিপাত করতেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর মীরের ময়দানস্থ পুলিশ লাইনস হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করেন এসএমপি কমিশনার মো.ইলিয়াস শরীফ।
পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের হেফাজত থেকে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি চাকু ও ছিনতাইকৃত ৭ হাজার টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়। ঘটনায় জড়িত পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ভ্যান নিয়ে নগরের সোবহানীঘাট কাঁচা বাজার পাইকারি আড়তে যাচ্ছিলেন গোবিন্দ দাস। ধোপাদিঘীর পূর্ব পাড়স্থ সৈয়দ চান্দ আহমদ চিশতিয়া মাজারের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাত গোবিন্দ দাসের পথরোধ করে। ছিনতাইয়ে বাধা দিলে ধারালো চাকু দিয়ে তার ডান বগলের নিচে পাজরে আঘাত করে সঙ্গে থাকা ৭ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা গোবিন্দ দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) সাদেক কাউসার দস্তগীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার সামছুদ্দিন ছালেহ আহমেদ চৌধুরী, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নগরীর টিলাগড়ে এলাকা থেকে একজনকে আটক করে। পরে তার তথ্যমতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো দুজনকে আটক করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জনারধন সরকার অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Posted ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin