নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই শিশুর ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, শনিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে শহরের ভৈরবপুর গ্রামের দানিস বেপারিবাড়ির একটি ছেলে চন্ডীবের গ্রামে হাঁটতে যায়। সে সময় ওই এলাকায় ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে চন্ডীবের ইলাহী বেপারিবাড়ির একটি ছেলের সঙ্গে ভৈরবপুর গ্রামের ছেলেটির কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ভৈরবপুর গ্রামের ছেলেটিকে চন্ডীবেরের লোকজন মারধর করে।
এ খবর ভৈরবপুর গ্রামে পৌঁছলে লোকজন চন্ডীবের গ্রামে হামলা করে কয়েকটি দোকান ভাঙচুরসহ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে চলে আসে। এরই জেরে চন্ডীবের গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ইট ও রেললাইনের পাথর নিয়ে রাত ৯টার দিকে ভৈরবপুর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
রাত দুইটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকছুদুল আলম বলেন, ‘দুই শিশুর ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিকেল ৩টার দিকে হাতাহাতি থেকে মারামারি হয়। বিষয়টি নিজেরা বসে আপস করা হবে বলে আমাকে জানানো হয়। পরে রাত ৯টার দিকে চন্ডীবের গ্রামের লোকজন ভৈরবপুর গ্রামে হামলা চালালে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। চার ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রামের ২০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
Posted ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin