শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে কৃষিতেও বাম্পার ফলন, ধান চাষিদের মুথে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট

কক্সবাজারে কৃষিতেও বাম্পার ফলন, ধান চাষিদের মুথে হাসি

লবণের পর এবার কক্সবাজারে কৃষিতেও বাম্পার ফলন ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। ফলে লবণচাষি ও ধানচাষিদের ঘরে ঘরে এখন আনন্দ উৎসব।

মহেশখালীর লবণ ও ধানচাষি আবু তালেব বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লবণচাষিরা যেমন লাভবান হয়েছে, তেমনি ধানচাষিদের ঘরেও উঠেছে কাঙ্খিত ফসল। লবণ ও ধানের মূল্য ছিল ভালো। ফলে কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে বাঁধভাঙা আনন্দ।

জেলার ৮ উপজেলার মাঠ থেকে বোরো ধান সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো এবং গত মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি হয়েছেন এ জেলার কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, তেমন বড় কোনো ঝড়-বৃষ্টি ও দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলনের গত বছরের তুলনায় এবার একর প্রতি ২-৫০ মণ করে ফলন বেশি হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত উৎপাদন করেছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৫৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার কম ৫৪ হাজার ৫৭৭ হেক্টরে চাষ হয়েছে। কারণ অনেক কৃষি জমিতে বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি হয়েছে।

হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান মিলে জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন হিসেবে সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

এর মধ্যে সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে চকরিয়া উপজেলায় ৭০ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে পেকুয়া উপজেলায় ২৯ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। এরপর মহেশখালী উপজেলায় ২৮ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন, সদর ও ঈদগাঁও উপজেলায় ২৬ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন, রামু উপজেলায় ২৬ হাজার ২৯১ মেট্রিক টন, উখিয়া উপজেলায় ২৫ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন, টেকনাফ উপজেলায় ৭ হাজার ৭৮৪ মেট্রিক টন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৬ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন।

কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী অফিসার আশীষ কুমার দে বলেন, এ বছর বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল অন্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, সরকারি প্রণোদনার আওতায় জেলার কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এবার বোরো মৌসুমে হাইব্রিড ধানে ও উপশী জাতের ধানে প্রায় ৫ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ধান চাষে সকল কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]