
সৈয়দা ফৌজিয়া হোসেন | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশ আগেই জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে। মূলত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বা ব্যবসায় তথা শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের অবদান প্রতিবছর বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা রেখেছেন, বাংলাদেশ ২০৩৭ সালের মধ্যে ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আর ২০৪০ সাল নাগাদ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
সরকারের ধারাবহিকতা থাকায় বাংলাদেশ গত ১৪ বছরে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নানা নীতি আর উদ্যোগে ব্যবসা-বাণিজ্য দিনে দিনে আরও বেড়ে চলেছে। সামনের দিনে তা আরও বাড়বে বলে অর্থনীতবিদ ও বিশ্লেষকরা বলে আসছেন।
তবে সরকার বিরোধীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কালো ছায়া পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। সঙ্গত কারণেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। দেশ ও দেশের অর্থনীতির জন্যই ব্যবসায়ী সমাজ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাইবেন।
ব্যবসায়ীদের এই চাওয়া সরকার বিরোধীদের বুঝতে হবে। কারণ, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে আর সব খাতের মতো শিল্প-বাণিজ্য খাতেও প্রভাব ফেলবে। এর ফলে নষ্ট হবে ব্যবসার পরিবেশ। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির সম্ভাবনা। ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের মানুষও।
পরিশেষে বলা যায়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে অপরাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের শুভ উদ্যোগ না থাকলে দেশে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তথা অর্থনীতিতে দ্রুত উন্নতির পথ অনেক দূরের যাবে।
দেশের অর্থনীতি নিয়ে বর্তমান সরকারের নীতি অনেক যুগোপযোগী ও ব্যবসায়বান্ধব। অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে রাজনৈতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতা তাই অত্যন্ত জরুরি। দেশে স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন না। তাই দেশের স্বার্থে সরকার বিরোধীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে। অন্যথা তারা দেশের ব্যবসায়ী সমাজের সমর্থন পাবেন না, একথা বলাই যায়।
লেখক: আওয়ামী লীগ নেত্রী ও চেয়ারম্যান, রিভেরা গ্রুপ
Posted ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin