
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
নেকড়েসহ বন্যপ্রাণীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখার কাজটি সহজ নয়। তবে বিষয়টি আরেকটু সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর উপায় বের করেছেন সুইজারল্যান্ডের একদল তরুণ। খবর ডয়েচে ভেলের
তাদের একজন অলিভিয়ে স্ট্যালি। একটি বাক্স আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নেকড়দের আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে সহায়তা করতে চান তিনি।স্ট্যালি বলেন, ‘ওয়াইল্ড-লাইফ-বক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেকড়ের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে। গর্জনের কারণে এটা সম্ভব হয়। তিন কিলোমিটারের বেশি দূর থেকে নেকড়ের গর্জন শোনা যায়৷ এভাবে আমরা একটা বড় এলাকার অবস্থা জানতে পারি। নেকড়ে গর্জন করলে এই বাক্স রিয়েল টাইমে রেঞ্জারকে তা জানিয়ে দেয়।’
স্ট্যালির ডিভাইস দিয়ে ৫০০ মিটারের মধ্যে নেকড়ের অবস্থান শনাক্ত করা যায়। বর্তমানে ক্যামেরা ট্র্যাপের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে নেকড়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু নেকড়েরা এই পদ্ধতি এড়ানো শিখে গেছে। তারা ফ্ল্যাশ আর শব্দ পছন্দ করে না, তাই ক্যামেরা ট্র্যাপ কোথায় আছে, তা মনে রাখে, এবং সেগুলো এড়িয়ে চলে৷ আমাদের পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা নেকড়েদের যোগাযোগ শনাক্ত করে তাদের ফাঁদে ফেলতে চাই। এভাবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি,’ বলেন তিনি৷
মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে শব্দগুলো সার্ভারে পাঠানো হয়। আর অডিও ফাইলগুলো ইমেজে পরিণত করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইমেজগুলো পরীক্ষা করে সেগুলো নেকড়ের গর্জন কিনা, বোঝার চেষ্টা করে।
রেঞ্জার মার্কো বানসার বলছেন, এই ডিভাইসের কারণে নেকড়ের হামলা ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নেকড়ের পরিবারের উপর নজর রাখা যেতে পারে।
Posted ১২:৪০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin