
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ঘটনাটি ২৫ জুলাইয়ের। ৯ বছরের শিশু আমেনা আত্মহত্যা করেছে, এমন খবরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় নিহতের দাদি, মা রোজিনা ও প্রতিবেশী মজনুকে সন্দেহ করে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মা রোজিনা ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেয়। এ সময় তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেন রোজিনা। তিনি জানান, মেয়ের ওপর রেগে গিয়ে ঘাড় মটকে দেন তিনি। পরে নিজেকে বাঁচতে মেয়েকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চিৎকার করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার।
নিহত শিশু আমেনা খাতুন ওই গ্রামের প্রবাসী মজনু খাঁর ছোট মেয়ে। গ্রেফতারকৃত রোজিনা বেগম নিহত শিশুর মা।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুলাই বিকেলে আমেনা আত্মহত্যা করেছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় মজনু খাঁর মা, পুত্রবধূ রোজিনা ও বাঘারপাড়া থানার ফলসি গ্রামের নুর জালাল বিশ্বাসের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার মজনুকে সন্দেহ করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মা রোজিনা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহ করার জন্য বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেন। এ সময় তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের আদেশে এক দিনের রিমান্ডপ্রাপ্ত হয়ে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রোজিনা নিজের দোষ স্বীকার করেন। তিনি জানান, ‘মেয়ের ওপর রেগে গিয়ে ঘাড়ে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দিলে, মেয়ের ঘাড় মটকে মারা যায়। পরে রোজিনা মেয়ে হত্যার দায় থেকে বাঁচতে লাকড়ি রাখার ঘরে রশি টাঙিয়ে মেয়েকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চিৎকার করতে থাকেন।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ঘটনার পরে রোজিনাকে নিয়ে এলাকায় গিয়ে তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে রোজিনাকে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
Posted ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin