
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৯ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গমাতা আজীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বাঙালির মুক্তির প্রেরণা ও সাহস যুগিয়ে গেছেন। তিনি জাতির পিতার আদর্শকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খুবই দু:খের বিষয় হলো বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, সেই একই সঙ্গে বঙ্গমাতাকে হত্যা করা হয়। এটা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্ক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা হয়। খুব অল্প দেশে এ ধরনের উদাহরণ আছে যেখানে সেই রাষ্ট্র নায়কের সাথে সাথে তার স্ত্রী, তার ছেলে, তার পরিবারের প্রায় ১৭ জনকে হত্যা করা হয়। এমনকি ১০ বছরের ছোট্ট শিশুকেও হত্যা করা হয় এটা বাঙালি জাতির জন্য একটা কলঙ্ক।
আব্দুল মোমেন বলেন, যারা স্বীকৃত খুনী, যারা পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিল। তাদের প্রায় পাঁচজন ধরা পড়ে নি। তাদের এখনো কোনো বিচার হয়নি। এটা আমাদের জাতির জন্য দু:খের বিষয়। আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন কোথায় আছে আমরা জানি না। বাকি দুইজনের আমরা খবর জানি কিন্তু দু:খের বিষয় তারা যে সমস্ত দেশে আছে সে সমস্ত দেশ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের বিচারের সম্মুখীন করছে না। আজকে আমাদের দাবি হবে ঘাতকদের বিচার। ঘাতকরা যেন বিচারের সম্মুখীন হয়, সে ব্যবস্থার জন্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিচার না পাওয়া আমাদের জন্য লজ্জার ও দু:খের। আমি আপনাদের সবার সাহায্য ও সমর্থন কামনা করি।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বঙ্গমাতা নিজেকে যুক্ত করেছেন। তিনি সংগঠনকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন, সংগঠনের বিভিন্ন প্রান্তের নেতাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ ছিলো। নিজের গহনা বিক্রি করে ছাত্রলীগের সম্মেলনের টাকা দিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি থেকে তিনি অনেক মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এছাড়াও দলীয় কার্যক্রম, আন্দোলন, সংগ্রামে নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে সাহায্য করেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গমাতা দেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি হয়েও বিলাসি জীবন যাপন করেনি। নীরবে, নিভৃতে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্য, বাংলাদেশের মানুষের শুধু দানই করে গেছেন। তার কাছে সহযোগিতা চেয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরে যায়নি। নিজের সোনার অলংকার বিক্রি করে মামলার খরচও যুগিয়েছেন। অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিয়সী এই নারী একজন সার্থক সহধর্মিণী ও আদর্শ মাতা ছিলেন। অন্যদিকে তিনি নিজেকে একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গড়ে তোলেন। তার স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিলো। আন্দোলন চলাকালে প্রত্যেকটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাতের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা নিয়ে আসতেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগকে সে নির্দেশনা জানাতেন।
Posted ২:২১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৯ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin