
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় শখ পূরণে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করলেন শহীদুল ইসলাম। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নিজ বাড়ি উপজেলার আগুনিয়া পাড়া থেকে বিয়ে করতে রওয়ানা হন তিনি। বর শহীদুল ইসলাম উপজেলার আগুনিয়া পাড়ার উম্মাদ আলীর ছেলে। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এমন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করে বিয়ের আয়োজনের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশুরা রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেন। এমন আলাদা আয়োজনে খুশি বর ও কনে পক্ষ উভয়ই।
জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নিজ বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আগুনিয়া পাড়া থেকে বিয়ে করতে রওয়ানা হন শহীদুল ইসলাম। একই উপজেলার ৭ গ্রাম পরে কনের বাড়ি বেড়বাড়ী গ্রাম এলাকায়। রাজার বেশে বরসহ ছয়জনকে নিয়ে ছুটে চলছে টমটম। টমটমটি সাজানো হয়েছেও বিয়ের গাড়ির মতো। যা দেখলে চোখ ফেরানো যাবে না। জোড়া ঘোড়া টগবগ টগবগ করে ছুটে চলেছে বরকে নিয়ে। ব্যতিক্রম এমন আয়োজন দেখতে রাস্তায় যেমন ভিড় করছে মানুষ।
বরের চাচাত ভাই সেলিম মিয়া জানান, ছোটবেলায় দাদা-দাদির কাছে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার গল্প শুনেছেন। প্রায় তিন যুগ আগে গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি বা পালকিতে চড়ে মানুষ বিয়ে করতে যেতো। বর্তমানে সেটি হারিয়ে গেছে। আজ হঠাৎ ঘোড়ার গাড়িতে বরযাত্রী দেখে মুগ্ধ হয়েছে সবাই। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম বিষয়টি দেখে অনুপ্রাণিত হবে। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করলে গ্রামীণ ঐতিহ্য আবারো ফিরে আসবে।
কনে ঝর্ণা খাতুন বলেন, বিয়ে আসলে সবার জীবনেই একটি বিশাল বিষয়। সেখানে ব্যতিক্রম হলে তো আর কথাই নেই। তবে এমন আয়োজন হবে তা আমরা আগে থেকে জানতাম না।
বর শহীদুল ইসলাম বলেন, লোকজ ঐতিহ্য ও বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী টমটমে চড়ে বিয়ে করেছি। বিয়েতে টমটম গাড়ির ব্যবহার অনেকেই মুগ্ধ করেছে। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে যুব সমাজকে টমটমে বিয়ের আহ্বান জানান তিনি।
বরের বাবা ব্যবসায়ী উম্মাদ আলী বলেন, শহীদুল আমার একমাত্র ছেলে। ছেলের শখে এমন বিয়ে।
কনের বাবা ব্যবসায়ী রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, আমরা জানতাম না যে বর পক্ষ এমন ভাবে আসবে। ৬০ জন যাত্রী এসেছেন বর। এরমধ্যে তিনটি মাইক্রোবাস ও ১০টি মোটরসাইকেল এসেছে। আর বর এসেছে টমটমে চড়ে।
Posted ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin