
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তরুণী আফরোজা আক্তার মিমির (২১) স্বপ্ন ছিলো নায়িকা হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগে মৃত্যু হলো তার।
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি ৬ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন এই তরুণী। রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মিরপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সাইন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন মিমি। নিহতের বাবা আফসার উদ্দিনের অভিযোগ, মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তির কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
মিমির বাবা বলেন, ‘গত বছর মেহেদী হাসান জনি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর মেহেদী নায়িকা বানানোর লোভ দেখিয়ে ওর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আদায় করে নেয় কয়েক লাখ টাকা। একপর্যায়ে তারা ডিওএইচএস এলাকাতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে শুরু করে।’
আফসার উদ্দিন বলেন, ‘মিমি ও মেহেদীর বিয়ে হয়নি, কেবল এফিডেফিট করেছিলেন তারা। চলতি বছর আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেহেদী তাকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেন। এরপর মিমি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মে মাসে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয় ও পরবর্তীতে পল্লবী থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।’
নিহতের বাবা বলেন, ‘মামলা করার পর পুলিশ মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ১৭-১৮ দিন পর জামিনে বের হয়ে সে আবারও উৎপাত শুরু করে। এসব কারণে মিমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু মামলার সাক্ষ্যর কারণে তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর আমরা তাকে আর চিকিৎসা দিতে পারিনি। মেয়েটা আমার শেষ পর্যন্ত মরেই গেল।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিমির বাবা বলেন, সে পড়ে গেছে কি না আমি জানি না, তবে যতটুক আমার পরিবার থেকে শুনেছি মিমি লাফ দিয়েছে।
এ ঘটনায় পল্লবী থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, নিহত তরুণীর বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনা আইনে মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin