
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। যেখানে আফগানদের গুঁড়িয়ে স্বস্তির জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল। এতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইলো দ্য গ্রিন ম্যানরা।
মঙ্গলবার শ্রীলংকার মাহিন্দা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান-পাকিস্তান। এ ম্যাচে ৪৭.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। নিজেদের ইতিহাসে পাকিস্তানকে অলআউট করে উল্লাসে মাতে আফগান আটলানরা। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান। এতে লজ্জার হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো জোনাথন ট্রটের শিষ্যরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। টানা দুই বলে উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে তার বলে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান। ৬ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। পরের বলে একই ফিল্ডারের জাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনে নামা রহমত শাহ।
পরের ওভারে আঘাত হানেন আরেক পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। এই ডানহাতি পেসারের বলে ক্যাচ তুলে দেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। ৩ বলের মোকাবিলায় হাশমতউল্লাহও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। দলীয় ৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এরপর একে ড্রেসিংরুমে ফেরেন একের পর এক ব্যাটার।
তবে দীর্ঘ সময় একপ্রান্তে অনড় অবস্থানে ছিলেন আফগান ওপেনার ও উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দলকে ৩৫ রানে রেখে পঞ্চম উইকেট হিসেবে বিদায় নেয়ার আগে তিনি ৪৭ বলের মোকাবিলায় ১৮ রান করতে পারেন।
গুরবাজ বিদায় নেয়ার পর কার্যত ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় আফগানিস্তান। উইকেট পতনের মিছিলে একে একে যুক্ত হন আফগান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৩ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও তাকে মাঠ ছাড়তে হয় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে।
বল হাতে পাকিস্তানের হারিস রউফ ৬.২ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ২ উইকেট শাহিন আফ্রিদির। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নাসিম ও শাদাব খান।
এর আগে ইমাম-উল-হকের ফিফটি এবং ইফতেখার আহমেদ ও শাদাব খানের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে দুইশ ছাড়ায় পাকিস্তান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ব্যতিক্রম ইমাম। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৯৪ বলে ৬১ রান করেন তিনি। ইফতেখার ৩০ ও শাদাবের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। বাকিদের মধ্যে বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল মোহাম্মদ রিজওয়ান (২১)।
Posted ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin