শুক্রবার ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট

রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন

কখনো হৃদযন্ত্রের অসুখের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন কি? হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গেলে চিকিৎসক রক্তের যে পরীক্ষা দেন, তাতে কোলেস্টরেলের পাশপাশি আরেকটি উপাদানের মাত্রাও পরীক্ষা করা হয়। তা হলো ট্রাইগ্লিসারাইড।

রক্তে থাকা এক প্রকারের ফ্যাট হলো ট্রাইগ্লিসারাইড বা টিজি। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তাতে থাকা ফ্যাটে ট্রাইগ্লিসারাইড পাওয়া যায়। আবার অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার ফলে যে ক্যালোরি আমাদের দেহে সঞ্চিত হয় তা থেকেও ট্রাইগ্লিসারাইড উৎপন্ন হচ্ছে। ট্রাইগ্লিসারাইড মূলত আমাদের দেহের শক্তি সেল হিসেবে কাজ করে। কোনো কারণে দেহ খাদ্য হতে শক্তি না পেলে, দেহে থাকা ট্রাইগ্লিসারাইড দ্বারা সে শক্তির চাহিদা মেটায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, ট্রাইগ্লিসারাইডকে প্রয়োজনীয় মনে হলেও রক্তে এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘটতে পারে অঘটন। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের বর্ধিত মাত্রা হৃৎপিণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং ইনসুলিনের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া, ট্রাইগ্লিসারাইডের ক্রমাগত উচ্চ মাত্রার কারণে ধমনী শক্ত হয়ে যেতে পারে। যা আর্টেরিওস্ক্লেরোসিস নামে পরিচিত। এ অবস্থা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় এবং প্যানক্রিয়াটাইটিস নামে পরিচিত অগ্ন্যাশয়ের তীব্র প্রদাহ সৃষ্টি করে।

তবে প্রাকৃতিকভাবে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে কিছু খাবার। চলুন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জেনে নেয়া যাক-

হলুদ
অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইডের কারণে দেহে প্রদাহ দেখা গেলে, ডিটক্স ওয়াটার, চায়ের মিশ্রণে বা স্যুপে কিছুটা হলুদ যোগ করে খেলে আরাম পাবেন। হলুদ কারকিউমিন সমৃদ্ধ একটি সক্রিয় যৌগ যা প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সবুজ শাক-সবজি
খাদ্য তালিকায় সবুজ ও মৌসুমি শাক-সবজি রাখতে হবে। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া এবং ইনসুলিন ব্যবস্থাপনাকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রক্তের প্রবাহে চিনির ধীর নিঃসরণ নিশ্চিত করে, যা হঠাৎ রক্তে শর্করার বৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়।

পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার
লাল চাল, গমের আটা, ভুট্টা, ওটসের মতো পূর্ণ শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করতে পারে।

 

অলিভ ওয়েল
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হলো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের উৎস, যা ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।

চর্বিযুক্ত মাছ
যেসব মাছে ওমেগা-৩ এর পরিমাণ বেশি, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ আপনাকে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে।

বাদাম
প্রতিদিনের ডায়েটে কিছু পরিমাণ বাদাম যুক্ত করলে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বিভিন্ন হৃদসমস্যা ও ডায়বেটিস থেকেও মুক্তি পেতে পারবেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিজয়ের ছড়া
(199 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]