
অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
২৫-২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল রাত্রিবেলা জাতির দূঃসময়ে তৎকালীন ক্যাপ্টেন অলি আহমদ; মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টেকে সাথে নিয়ে সর্বপ্রথম বিদ্রোহ করেন এবং তৎকালীন মেজর জিয়াকে স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি এপ্রিলের ১১ তারিখ হতে জুন মাস পর্যন্ত ৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সশস্ত্র সম্মূখ যুদ্ধে নেতৃত্বে দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র ব্রিগেড মেজর নিযুক্ত হন। মূলতঃ ক্যাপ্টেন অলি আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন অলি আহমদের বীরত্বের জন্য সর্বপ্রথম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বীর বিক্রম খেতাব পান।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তেমনি দেশে গণতান্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে রাজপথে আন্দোলনে আছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং কর্নেল অলি ছিলেন পরামর্শক। স্বল্প সময়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন তার শাসন ব্যবস্থা এবং দেশপ্রেমের কারণে। তার এই সাফল্যের পিছনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন কর্নেল অলি।
ড. কর্নেল অলি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যোগাযোগ, কৃষি, পানি সম্পদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোন সরকারই কোন দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারেন নাই। তিনি একজন সৎ, আদর্শবান, সুশিক্ষিত, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ। জাতির এই দুঃসময়ে তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে জাতিকে দুঃশাসন থেকে মুক্তি দিবেন এটা জনগণ প্রত্যাশা করে।
Posted ১২:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin