নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট
শুক্রবার দুপুর। বাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে একটি গরুর বাছুর বেঁধে রাখেন আব্দুল কাদের। এরপর জুমার নামাজে গেলে ৪-৫ জনের একটি দল বাছুরটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আবদুল কাদেরের স্ত্রী আছমা বেগম বাধা দেন। এ সময় গরুর সঙ্গে তাকেও প্রাইভেটকারে তুলে মারধর করে চোরের দল। মায়ের চিৎকার শুনে মেয়ে পিংকি এগিয়ে গেলে তার ওপর প্রাইভেটকার তুলে দেয় চোরের দল। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পিংকি। পরে গরু নিয়ে পালিয়ে যায় চোরের দল।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে ময়নাতদন্তের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের রায়কোট পূর্বপাড়ার গাজির বাড়ির সামনে। নিহত পিংকি একই এলাকার আব্দুল কাদেরের মেয়ে। তিনি স্থানীয় বাংগড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা হলেন- নিহতের মা আছমা বেগম ও ফুফাতো ভাই নাজমুল হাসান জাহাঙ্গীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার সকালে আব্দুল কাদের তার গৃহপালিত একটি গরুর বাছুর বাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে বেঁধে রাখেন। দুপুরে আব্দুল কাদের জুমার নামাজে গেলে এ সুযোগে প্রাইভেটকারে ৪-৫ জনের একটি দল বাছুরটি প্রাইভেটকারের ভেতরে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আবদুল কাদেরের স্ত্রী আছমা বেগম বাধা দেন। এ সময় গরুর সঙ্গে তাকেও প্রাইভেটকারে তুলে মারধর করে চোরের দল। মায়ের চিৎকার শুনে মেয়ে পিংকি এগিয়ে গেলে তার ওপর প্রাইভেটকার তুলে দেয় চোরের দল। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। একপর্যায়ে তারা গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা আছমা বেগম জানান, চোরের দল প্রাইভেটকার যোগে যখন তাদের গরু নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি দৌড়ে প্রাইভেটকারের সামনে গেলে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। এ সময় তার চিৎকার শুনে মেয়ে পিংকি দৌড়ে এসে প্রাইভেটকারের সামনে দাঁড়ালে তার ওপর দিয়ে গাড়িটি তুলে দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তিনি চোরের দলকে আটক করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।
Posted ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin