অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জুন ২০১৮ | ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
যতই যোগ্যতা মেধার অধিকারি হোন না কেন। আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে ভারতীয়দের অপেক্ষা করতে হবে ১৫০ বছর। এই গ্রিন কার্ডই হল আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে বসবাস এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ছাড়পত্র। এমনই দাবি করছেন মার্কিন বুদ্ধিজীবীরা।
যদিও কয়েকদিন আগেই আমেরিকার নাগরিকত্ব প্রদান এবং অভিবাসন দপ্তর একাধিক আবেদন গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৬,৩২,২১৯ জন ভারতীয় এবং তাদের পরিবার গ্রিন কার্ড পাওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। এরা সকলেই যোগ্যতা এবং মেধার নিরিখে সেরা বলে দাবি করা হয়। সেকারণেই তারা গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পেরেছেন।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী সেরা মেধার প্রবাসীদের অন্তত পক্ষে ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয় আমেরিকার গ্রিনকার্ড পাওয়ার জন্য। সেই শ্রেণিকে বলা হয় ইবি–১ ক্যাটাগরি। সমীক্ষকদের দাবি এই ক্যাটাগরিতে ৩৪,৮২৪ জন ভারতীয় এবং তাঁদের ৪৮,৭৫৪ জন স্ত্রী ও ৮৩,৫৭৮ জন সন্তান গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
ইবি–৩ ক্যাটাগরির আবেদনকারীদের অপেক্ষা করতে হয় ১৭ বছর। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৪,৮৯২ জন ভারতীয় এই ক্যাটাগরিতে গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন ৬০,৩৮১ জন স্বামী অথবা স্ত্রী এবং ১,১৫,২৭৩ জন ছেলেমেয়ে।
কিন্তু ইবি–২ ক্যাটাগরির আবেদনকারীদেরই সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১৫১ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে ক্যাটো ইন্সস্টিটিউট। আর এই ক্যাটাগোরিতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি আবেদনকারী। প্রায় ২,১৬,৬৮৪ জন আবেদনকারী রয়েছে এই ক্যাটাগরিতে।
২০১৭ সালে মাত্র ২২,৬০২ আবেদনকারীকে গ্রিনকার্ড দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাদের মধ্যে ২,৮৭৯ জন আবেদনকারী ছিলেন ইবি–১ ক্যাটাগরির আর ৬,৬৪১ জন ছিলেন ইবি–২ ক্যাটাগরির। এই দেরির একমাত্র কারণ জমে থাকা আবেদন পত্র। গ্রিনকার্ডের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পত্র জমা হয়ে রয়েছে ইবি–২ ক্যাটাগরিতে। সেগুলির আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।