ভারতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াল আদানিকাণ্ড। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার তারই শুনানিতে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (সেবি) কাছে প্রশ্ন করে সর্বোচ্চ আদালত জানতে চাইলেন, কিভাবে বোঝা যাবে বিনিয়োগকারীরা সুরক্ষিত?
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালার বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি হয়। সেবির উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, শোনা যাচ্ছে যে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের ১০ লাখ রুপি ক্ষতি হয়েছে। তাদের সুরক্ষা আমরা কিভাবে সুনিশ্চিত করতে পারি? কী করলে আগামী দিনে এই বিপর্যয় এড়ানো যেতে পারে? সে ক্ষেত্রে সেবির ভূমিকাই বা কী হবে?
বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষিত রাখতে আরো কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেবিকে। ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই প্রতিবেদন সেবিকে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা বলেন, বর্তমানে কী ব্যবস্থা রয়েছে তা যেন সরকার আমাদের জানায়। সেই ব্যবস্থাকে কীভাবে আরো মজবুত করা যায় তা দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির কথাও ভাবা যেতে পারে। তাতে প্রাক্তন বিচারপতি, আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ, আর্থিক বিশেষজ্ঞদের রাখা যেতে পারে। আবার সেবিকেও বৃহত্তর ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। সেবিও বিবেচনা করে দেখুক তাদের যে ক্ষমতা এখন দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত কি না। তাদের আরো মজবুত করে তুলতে কী কী করা যেতে পারে সেটাও তারা জানাতে পারে।
সূত্র : দ্য ওয়াল
Posted ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin