নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
নকিয়া ও অ্যাপল ব্র্যান্ডের অতীত খতিয়ান বলছে, তারা একে অন্যের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল। বলতে গেলে চুক্তি সই করে। যার শর্তে ছিল, ফিনিশ ব্র্যান্ড নকিয়া নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নে অ্যাপলকে কিছু সুনির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো পণ্যের সঙ্গে পরিষেবা নিশ্চিত করবে। বিপরীতে অ্যাপল নিজস্ব স্টোরে ও অনলাইনে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট পণ্য বিপণন ও প্রদর্শন করবে। যদিও তাদের মধ্যে আইনি লড়াইয়ের উত্তেজনাকর ঘটনারও উদ্ভব হয়।
নতুন চুক্তির আওতায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে বেশ কয়েক বছরের জন্য অ্যাপলের কাছ থেকে বিশেষ কিছু বিভাগের জন্য কারিগরি ও আর্থিক সুবিধা নেবে নকিয়া, যা ব্র্যান্ড উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
নকিয়া টেকনোলজিসের সভাপতি জেনি লুকান্ডার জানান, অ্যাপল ব্র্যান্ডের সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পেটেন্ট লাইসেন্স চুক্তি নিশ্চিতভাবেই সুখবর। চুক্তিটি নকিয়ার পেটেন্ট পোর্টফোলিওর শক্তি, গবেষণা ও উন্নয়নে কয়েক দশক ধরে বিনিয়োগ এবং অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে, যা স্মার্টফোনের উন্নয়ন ছাড়াও বিশেষ প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক।
নকিয়া ২০০০ সাল থেকে গবেষণা ও উন্নয়নে ১৪০০ কোটি ইউরোর (১৫২.৯ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করেছে। নকিয়ার পেটেন্ট সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। মূলত পেটেন্ট হচ্ছে একটি একক উদ্ভাবনকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত একক আইনি অনুমোদন।
২০১৬ সালে মাইক্রোসফট এইচএমডি গ্লোবালের নেতৃত্বে বিশেষ গ্রুপের কাছে নকিয়া স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের স্বত্ব বিক্রি করে দেয়। স্মার্টফোন শিল্পে নকিয়া ও অ্যাপল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না কখনোই। তবে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডদ্বয়ের মধ্যে বাজার প্রতিযোগিতায় হয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
Posted ১:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin