নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান ভয়াবহ সংঘাতের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইন বিছানো দেশে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। পূর্ণ উদ্যমে এসব মাইন অপসারণ করতে গেলেও অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে।
শনিবার (২২ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
স্লোভাকিয়াভিত্তিক থিংক-ট্যাংক গ্লোবসেকের দেয়া তথ্যানুসারে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের কারণে ১ লাখ ৭৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা সক্রিয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই এলাকায় বর্তমানে বিপুল-সংখ্যক গোলা, বোমা এবং মাইন অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে। এসব কারণেই মূলত ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ব্রিটিশ এনজিও মাইনস অ্যাডভাইজরি গ্রুপের প্রোগ্রামের পরিচালক গ্রেগ ক্রোথার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘ইউক্রেনে যে পরিমাণ গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে তা বিগত ৩০ বছরের ইতিহাসে বিরল।’
জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়ে ২২ শিশুসহ প্রায় ৩০০ বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক মারা গেছে। একই সময়ের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬৩২ জন।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধে উভয় পক্ষই সমান তালে মাইন ব্যবহার করেছে। এই মাইনগুলোর অধিকাংশই অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। বিভিন্ন মাইন অপসারণ বিষয়ক সংস্থার অনুমানের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই মাইনগুলো অপসারণ করতে গেলে অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে। এমনকি ৫ শতাধিক মাইন অপসারণ দল নিয়োগ যদি অনবরত কাজ করে যায় তারপরও এই সময় লাগবে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, এই মাইনগুলো অপসারণে পরবর্তী ১০ বছরে অন্তত ৩ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার লাগবে। যেখানে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন মাইন অপসারণের জন্য মাত্র সাড়ে ৯ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
Posted ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin