নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৪ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতা চেয়েছেন। গত সপ্তাহে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়, এতে ক্ষমতা হারান বাজুম। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক নিবন্ধে তিনি দেশটিতে ‘সাংবিধানিক ধারা ফিরিয়ে আনতে’ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর: বিবিসির
‘বন্দি অবস্থায়’ ওই লেখাটি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুম।
অভ্যুত্থানের পর নাইজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া ও টোগোর রাষ্ট্রদূতদের দেশছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছেন অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয়রা। টেলিভিশনে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, এই চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের কার্যকারিতা বাতিল করা হলো।
এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত নাইজারের রাষ্ট্রদূত কায়ারি লিমান-তিঙ্গুইরি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘জান্তা নেতৃত্বের উচিত যৌক্তিক আচরণ করা এবং বোঝা উচিত যে এটি সফল হবে না।’
ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধে প্রেসিডেন্ট বাজুম লিখেছেন, ‘এই অভ্যুত্থান সফল হলে আমাদের দেশ, অঞ্চল এমনকি গোটা বিশ্বের জন্যই ধ্বংসাত্মক হবে। গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদ ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাসহ আমাদের যেসব মূল্যবোধের জন্য আমরা লড়াই করছি, আমি মনে করি দারিদ্র ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এসবই আমাদের অস্ত্র।’
পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাজুম বলেন, ‘নাইজারের জনগণ আপনাদের সহযোগিতার কথা কখনো ভুলবে না। আমাদের ইতিহাসে তা লেখা থাকবে।’
ধারণা করা হচ্ছে, নাইজারের অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয়রা রাশিয়ার মদদপুষ্ট। বৃহস্পতিবার নাইজারে অভ্যুত্থানের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে রাশিয়ার পতাকা মাথায় নেওয়া লোকজনেরও দেখা মিলেছে।
এরই মধ্যে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ।
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইউরেনিয়াম সরবরাহের বড় অংশ আসে নাইজার থেকে। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
Posted ২:৪৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin