নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিশ্বাস ছিল, ২৩ জুনের বিদ্রোহের ঘটনায় তিনি ক্ষমা পেয়ে যাবেন। রাশিয়ায়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।
রাশিয়ার কয়েকটি প্রতিবেদনের বরাতে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক আইএসডব্লিউ (ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার) এমন দাবি করেছে। আইএসডব্লিউ বলছে, ভাগনারের বিদ্রোহ, মস্কো দখল এবং সামরিক কমান্ডারদের উৎখাতের মধ্য দিয়ে পুতিনকে যে ব্যক্তিগতভাবে অপমান করা হলো, তা হয়তো প্রিগোজিন খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তার কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়েছে, তিনি পুতিনের প্রতি তাঁর আনুগত্য নিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কারণ, পুতিন তাঁর প্রতি অনুগতদের মূল্যায়ন করে থাকেন। অনুগত রুশ কর্মকর্তা ও সামরিক কমান্ডাররা ব্যর্থ হলেও তাঁদের নিয়মিত পুরস্কৃত করে থাকেন তিনি।
আইএসডব্লিউ বলেছে, প্রিগোজিনের বিদ্রোহের ঘটনাটি অবাধ্যতার শামিল। যদিও তাঁর দাবি, রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেই তিনি বিদ্রোহ করেছেন। আইএসডব্লিউ মনে করে, কিছু ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটেছে।
একসময় প্রিগোজিন পুতিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সে সূত্র ধরেই ভাগনারের হাল ধরেন তিনি। ভাগনার রাশিয়ার হয়ে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধেও মস্কোর বড় সফলতা এসেছে বাহিনীটির হাত ধরে। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। ভাগনার যোদ্ধারা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাশিয়ার একটি শহর দখল করে নেয় এবং কয়েকটি রুশ বিমান ভূপাতিত করে। তখন ওই বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরি মারার মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পুতিন।
ওই বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরি মারার মতো’ বলে আখ্যা দেন পুতিন। অনেক বিশ্লেষকের আশঙ্কা ছিল, বিদ্রোহের পরিণতি মোটেও ভালো হবে না প্রিগোজিনের জন্য।
গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ‘এমব্রেয়ার লিগেসি’ রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। মস্কো থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে টিভিয়ের এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজে প্রিগোশিন ও তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উতকিনসহ সাতজন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিলেন। তাঁদের সবাই নিহত হয়েছেন।
Posted ৩:৫৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin