শনিবার ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জি২০ সম্মেলন: শেষ মুহূর্তে ঠেলাঠেলির যৌথ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

জি২০ সম্মেলন: শেষ মুহূর্তে ঠেলাঠেলির যৌথ ঘোষণা

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় অনেকটা ঠেলাঠেলি করে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হন নেতারা। রাশিয়ার বিরোধিতায় ঘোষণাপত্র সংশোধন করা হয় শেষ মুহূর্তে।

সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান এবং হামলার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে– এমন সব কথাই বাদ দেওয়া হয়। পরিবর্তে যুক্ত করা হয়, সব দেশের উচিত আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব বা কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা। এতে ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান না নেওয়া এবং রাশিয়ার নিন্দা না করায় এই ঘোষণাপত্র মস্কোর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। অন্যদিকে, সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও পরোক্ষভাবে যুদ্ধ বা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য থাকায় পশ্চিমা দেশগুলোর কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হয়। খবর পলিটিকোর।

নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুপস্থিতিতে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠের সময় ইউক্রেনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানানো হলে ল্যাভরভ বারবার ক্ষুব্ধ হন। পরে সম্মেলনের সভাপতি ভারত বিষয়টি সদস্য দেশগুলোর নজরে আনে।

এর পর ব্রিকসের তিন গণতান্ত্রিক দেশ নতুন পথ বের করার পরামর্শ দেয়। তাদের যুক্তি– বিবৃতিতে জাতিসংঘের সনদ থেকে ভাষা এবং নীতিগুলো নেওয়া যেতে পারে। ফলে তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়ার আপত্তি থাকা উচিত নয়। সনদে বলা রয়েছে– কোনো দেশ শক্তি প্রয়োগ করে অন্যের কাছ থেকে অঞ্চল দখল করতে পারবে না।

পরে ল্যাভরভ এতে সম্মতি দেন। একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোও সন্তুষ্ট হয়। কারণ, এই ভাষা প্রকৃতপক্ষে জি২০-এর মধ্যে অপ্রতিরোধ্য অনুভূতিকে প্রতিফলিত করে।
এদিকে, এই সম্মেলনকে রাশিয়া মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করলেও হতাশা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধানকে বলেছেন, চীন ও ইউরোপের উচিত বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সহযোগিতা করা। এই সম্মেলনে পুতিনের মতোই অংশ নেননি দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

আগামী জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে ব্রাজিলে। দেশটির প্রেসিডেন্টের হাতে সেই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন এবারের সম্মেলনের সভাপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই পদে থাকবেন মোদি। তবে এর আগে তিনি একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু, জৈব জ্বালানিসহ বিভিন্ন মূল চুক্তিতে পৌঁছেছে। যদিও জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য সমালোচনাও ছিল সম্মেলনে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৫৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(231 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]