নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় বেড়েই চলেছে লাশের স্তূপ। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, ঝড়ের পর প্রবল ওই বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দারনা শহর। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁধ ভেঙে শহরে ঢুকে পড়া পানিতে ভেসে যান অনেকে। এখন সেসব মানুষের আত্মীয়-স্বজনরা তাদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় শুধু দারনা শহরেই মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলোচ্ছ্বাস-বন্যায় হাজার হাজার মানুষ নিহতের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে লিবিয়ার বিদ্রোহী সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর। দেশটির অভ্যন্তরীণ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই ঘটেছে এই বিপুল প্রাণহানি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ব লিবিয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন— সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঝড়ের আগে দারনা শহরের বাসিন্দাদের ঝড় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, নিরাপদ স্থানে সরেও যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সাধারণ লোকজনের অনেকেই এই সতর্কবার্তাকে ‘অতিরঞ্জিত’ মনে করে আমল দিতে চাননি।
জনগণের উদাসীনতার কারণেই নিহতের সংখ্যা এত বেড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর দারনায় আছড়ে পড়ে ভূমধ্যসাগরে সৃষ্ট প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এবং শহরটি ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওয়াদি দারনা নদীর বাঁধ ভেঙে প্রচুর পানি শহরের ভেতরে প্রবেশ করে। এতে আক্ষরিক অর্থেই ভেসে যায় শহরটি। এমনকি মানচিত্র থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এই শহর।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে দারনার অধিকাংশ আবাসিক ভবন ভেঙে পড়েছে। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার হচ্ছে শত শত মৃতদেহ। সরকারি তথ্যানুযায়ী, গত ছয় দিনে দারনার বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মরদেহ এবং এখনো অন্তত ২০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস-বন্যায় ইতোমধ্যে শহরের ৩০ শতাংশ অঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
Posted ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin