নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
ইসরায়েলের একের পর এক বিমান হামলায় বিপর্যস্ত এখন গাজা উপত্যকা। সীমান্তেও প্রস্তুত ইসরায়েলি সৈন্যরা, যেকোনো সময় শুরু হতে পারে স্থল অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে গাজা ছেড়ে যাচ্ছেন লাখ লাখ বাসিন্দা। তাদের গন্তব্য গাজার দক্ষিণে রাফাহ সীমান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়েছে যে, বিদেশি পাসপোর্টধারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া এবং মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশের উদ্দেশ্যে অল্প সময়ের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দেয়া হতে পারে।তবে মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। খবর বিবিসির
রাফাহ ক্রসিং কী এবং কোথায় অবস্থিত?
রাফাহ-মিশরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্ত পথ যেটি গাজার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হবার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটোই এখন বন্ধ।
ফলে মিশরের এই সীমান্ত পথটিই এখন গাজার উদ্বাস্তুদের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হবার পর সীমান্তটি বন্ধ করে দিয়েছে মিশর।
রাফাহ সীমান্ত এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গত ৭ই অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে আক্রমণ করে হামাস। এ ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সীমান্তটি বন্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
ফলে রাফাহ সীমান্তটিই এখন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফাহ এখন গুরুত্বপূর্ণ।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা সামগ্রীপূর্ণ একটি উড়োজাহাজ উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে।
রাফাহ সীমান্তের কাছে জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী বহনকারী কয়েক ডজন লরিও এখন গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
রাফাহ সীমান্তে এখন কি হচ্ছে?
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাফাহ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী নানা খবর ছড়ানো হয়েছে। সীমান্তটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামাস ও মিশরের মধ্যে যেমন রেষারেষি চলছে, তেমনি ইসরায়েলও বোমাবর্ষণ করে সীমান্তে চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম।
মিশরের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলেছে, ইসরায়েল গত ৯ই এবং ১০ই অক্টোবর রাফাহ সীমান্তে অন্তত তিনবার হামলা চালায়, যাতে মিশরের বেশ কিছু নাগরিক আহতও হয়েছে।
Posted ৩:৪৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin