নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ১৭তম দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। রোববার ফিলিস্তিনিদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার ২৯ কর্মী নিহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, আমরা মর্মাহত এবং শোকস্তব্ধ। এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে যে, ৭ অক্টোবর থেকে আমাদের ২৯ সহকর্মী নিহত হয়েছে।
এর আগে শনিবার ১৭ জন সহকর্মী হারানোর বেদনাদায়ক খবর দিয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের নিহত কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন শিক্ষক।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার মধ্যে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাজার হাজার গাজাবাসী ইউএনআরডব্লিউএ সুবিধাগুলোতে আশ্রয় চেয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই বিমান হামলায় ৪ হাজার ৭০০এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলার পর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। এর ফলে অবরুদ্ধ গাজায় জ্বালানি, পানি, খাদ্য ও বিদ্যুতের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের স্কুলে হামলা চালিয়ে ১২ জন বেসামরিক এবং বাস্তুচ্যুত মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এছাড়া হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ এর ৩৮টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করেছে যে, গাজায় তাদের জ্বালানি সরবরাহ তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, জ্বালানি ছাড়া পানি থাকবে না, কোনো কার্যকরী হাসপাতাল ও বেকারি থাকবে না। জ্বালানি ছাড়া মারাত্মক সংকটে থাকা হাজার হাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছাবে না। জ্বালানি ছাড়া, কোন মানবিক সহায়তা দেওয়া যাবে না।
Posted ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin