শনিবার ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের শঙ্কা বাড়ছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের শঙ্কা বাড়ছেই

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বর্বর হামলায় ধ্বংসস্তূপ আর মৃত্যুকূপে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনের গাজার নিয়ন্ত্রণ একীভূত করেছে ইসরায়েল। সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হুমকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও স্থল অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গ্রুপের হামলার জাবাবে লেবাননেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় সংঘাতের শঙ্কা বারবারই সামনে আসছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

গত রোববার পূর্ব সিরিয়ায় ইরান ও এর সমর্থকদের ব্যবহৃত স্থাপনাগুলোতে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে সশস্ত্র গ্রুপটির সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর প্রায় প্রতিদিনই হামলা করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ফলে এর জবাবে গত ১৭ অক্টোবর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন হামলা জোরদার করে।

এদিকে, লেবানন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নিক্ষেপ করছে হিজবুল্লাহ। এসব আক্রমণের জবাবে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ গত রোববার সমর্থকদের বলেন, ইসরায়েলের ওপর চাপ বজায় রাখতে চান তারা। ইসরায়েলের অনেক ভেতরের বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চলানোর কথাও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সবশেষ হামলাগুলো এমন সময়ে করা হয়, যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ একীভূত করেছে। ইসরায়েল বলছে, হামাস অস্ত্র সঞ্চয়, আক্রমণের পরিকল্পনা এবং অভ্যন্তরীণ যোদ্ধাদের ব্যবহার করে গাজা থেকে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করাই এ হামলার লক্ষ্য। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলায় চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়। এরপর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে গাজায়। বেসামরিক মানুষ হত্যায় প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে রয়েছে ইসরায়েল। কমে এসেছে বৈশ্বিক সমর্থন।

একদিকে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে, অন্যদিকে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমানবাহী রণতরীসহ অন্য সামরিক সম্পদ মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর লক্ষ্য– লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক ও সিরিয়ায় যাতে একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু এখন ইরানের সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত যেতে পারে মার্কিন বাহিনী।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ইরানের সঙ্গে বৃহত্তর সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে, মার্কিন সৈন্যদের ওপর হামলার জবাব দিতে দ্বিধা করবে না ওয়াশিংটন।

গাজায় হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানায় ইসরায়েলকে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো হামলা বাড়ায়। সাম্প্রতিক এসব হামলার প্রতিশোধ নিতে গত রোববার গভীর রাতে পূর্ব সিরিয়ায় ইরান এবং তার সহযোগীদের ব্যবহৃত স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস, সিরিয়া ও ইরাকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসন এর আগেও হামলা চালিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের বিমান হামলাগুলো ছিল ব্যাপক।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৫৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(236 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]