নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের ওপর ঋণের বোঝাও বাড়ছে ধারাবাহিকভাবে। সংঘাতের মাত্র এক মাসে ইসরায়েলিদের ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি শেকেল বা ৭৮০ কোটি ডলার। উদ্যোক্তা পাওয়ার হাউসের হিসেবে প্রশংসিত ইসরায়েলের অর্থনীতিতেও এটি আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাতে সোমবার এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এর পর গাজায় পাল্টা হামলা চালাতে গিয়ে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। এ ছাড়া সীমান্তের কাছাকাছি থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং হামাসের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও জিম্মিদের পরিবারগুলোকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হয় তেল আবিবকে। ব্যাপকভাবে কমে যায় সরকারের আয়ও। সব মিলিয়ে গেল অক্টোবরে দেশটির বাজেট ঘাটতি দাঁড়ায় রেকর্ড ২ হাজার ২৯০ কোটি শেকেল, যেখানে সেপ্টেম্বরেও এর পরিমাণ ছিল ৪৬০ কোটি শেকেল।
ইসরায়েলি অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত চাহিদাসহ অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও বেসামরিক সহায়তা কার্যক্রমে সরকারকে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে তারা। তবে অর্থনীতিবিদদের ধারণা, এসব কারণে দেশটির বাজেট ঘাটতি এবং জিডিপির সঙ্গে ঋণ অনুপাতের পার্থক্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে, যা ২০২৪ সালজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সদস্য তাদের চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে সামরিক দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত হচ্ছেন। ফলে অর্থনীতির কিছু অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি প্রযুক্তি শিল্প হঠাৎ করে ধীর হয়ে গেছে। একটি বড় অফশোর প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Posted ৫:৪৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin