নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
জান্তাবিরোধী বিপ্লবী সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা জোরদারের পর বিদ্রোহীদের হাতে একের পর এক জান্তা নিয়ন্ত্রিত শহর ও ফাঁড়ির পতন ঘটছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে একযোগে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। গত কয়েক দিন ধরে শান, মাগওয়ে, সাগাইং, চিন ও রাখাইনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বিপুলসংখ্যক সেনা ও ফাঁড়ি হারিয়েছে জান্তা।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সামরিক জোট গড়ে তুলেছে। অক্টোবরের শেষ দিকে ‘অপারেশন ১০২৭’ নামে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত হামলা শুরু করেছে তারা। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৯টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এসব শহরে কয়েক দশক ধরে সেনা ব্যাটালিয়ন মোতায়েন ছিল। শান রাজ্যে পাঁচটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা। এ ছাড়া সাগাইং অঞ্চলে দুটি ও চিন রাজ্যে তিনটি শহর এখন বিদ্রোহীদের দখলে।
ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মির সমন্বয়ে। তাদের হামলায় সহযোগিতা করছে জান্তাবিরোধী বিপ্লবী সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) প্রতি অনুগত পিডিএফ গোষ্ঠীগুলো। রাখাইনে আরাকান আর্মির হামলায় সোমবার থেকে প্রায় ৪০টি অবস্থান ছেড়েছে সেনাবাহিনী। অপারেশন ১০২৭-এর অধীনে এই হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জান্তা শাসকরা দেশটির সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জরুরি পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছে। রাজধানী নেপিদোর প্রশাসনিক কাউন্সিলের সম্পাদক তিন মাউং সেউই বলেন, জান্তা শাসকরা সব সরকারি কর্মী এবং সাবেক সেনাসদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় ইউনিট গঠন করতে বলেছেন, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে তারা সাড়া দিতে পারেন।
Posted ৩:৪১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin