নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলা ও স্থল অভিযানের মধ্যে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন। ইসরায়েলের নৃশংসতা থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও।
৭ অক্টোবর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭১০ শিশু ও ৩ হাজার ১৬০ নারী রয়েছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে চাপ প্রয়োগের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে লেবার পার্টির ৫৬ আইনপ্রণেতা দলের নিয়ম ভেঙে তাতে ভোট দেন। ওই প্রস্তাব পাস হলে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্য গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাত। প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। ২৯০ আইনপ্রণেতা বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় এটি পাস হয়নি। পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৮৩ জন। এর আগে গত ৭ নভেম্বর দেওয়া এক ভাষণে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
গাজায় প্রধান হাসপাতালগুলো হামলার শিকার হচ্ছে। এরই মধ্যে আল শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সেখানে তাদের সঙ্গে থাকা বিবিসির প্রতিনিধি লুসি উইলিয়ামসন জানান, হাসপাতালটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। চিকিৎসকরা বলছেন, বিদ্যুৎ ছাড়াই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। এতে নবজাতকসহ গুরুতর আহত বা অসুস্থ রোগীরা মারা যাচ্ছেন। যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত বহু মানুষকে হাসপাতালে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। হাসপাতালে হামাস সদস্যরা রয়েছেন- ইসরায়েল এমন অভিযোগ করলেও সেখানে সশস্ত্র কাউকেই পাওয়া যায়নি।
Posted ৩:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin