নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
জ্যেষ্ঠ দুই কমান্ডার ও কয়েকজন কর্মকর্তাসহ গাজায় এক দিনে ইসরায়েলের ১০ সেনা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গাজা সিটির শহরতলি সেজাইয়ায় মঙ্গলবার হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা গেছেন ৯ জন। নিহতদের মধ্যে বেনিয়ামিন বাসাত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অন্যতম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ওই লড়াইয়ে অন্তত তিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযানে ১১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল এসব তথ্য জানায়। এ দিন তিনটি ভবন পরিত্যক্ত ভেবে প্রবেশ করেন ইসরায়েলের সেনারা। তখনই হামাস যোদ্ধারা গ্রেনেড হামলা ও গুলি শুরু করেন। বিস্ফোরকের আঘাতে ঘটনাস্থলেই চার সেনা নিহত হন।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে ফিলিস্তিনি হতাহতের সংখ্যা। সেই সঙ্গে উপত্যকায় জরুরি ত্রাণ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। সিএনএন জানায়, গাজার বাস্তুচ্যুত লাখো ফিলিস্তিনি অনাহার ও প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। কেয়ার ইন্টারনেশনালের ত্রাণকর্মী সালয়া তিবি বলেন, গাজার শিশুদের শীতের রাতে গায়ে জড়ানোর মতো গরম কাপড় নেই। খাবারের জন্য তারা চিৎকার করছে।
গাজার বিভিন্ন চেকপয়েন্টে ইসরায়েলের সেনারা চিকিৎসাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসি জানায়, গতকাল তারা ২৫০টি লক্ষ্যে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
Posted ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin