নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
গির্জার ঘণ্টাধ্বনিতে মুখর হয় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেম। বড়দিন ঘনিয়ে এলে ইসরায়েল অধিকৃত শহরটিতে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় থাকে। আনন্দ-উল্লাস, জমকালো সব আয়োজন থাকে গির্জা ঘিরে। পর্যটকের উপস্থিতিতে চাঙ্গা হয় ব্যবসাও। কিন্তু এ বছর এর ছিটেফোঁটাও নেই। যিশুখ্রিষ্টের জন্মস্থান বেথলেহেম এখন প্রায় জনশূন্য। বাসাবাড়িতেও নেই কোনো আনন্দ। বেথলেহেমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে বড়দিনের অনুষ্ঠান। খবর সিএনএন ও আলজাজিরার।
খ্রিষ্টান পরিবারগুলো বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের অনেক স্বজন নিহত হয়েছেন। গাজার মানুষ একবেলা খাবারের জন্য ছোটাছুটি করছে– এমন পরিস্থিতিতে কী করে বড়দিন উদযাপন সম্ভব!
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা নোহা হেলমি তারাজি। ৮৭ বছর বয়সী এই নারী প্রতিবছর সাধারণত একটি বড় গাছ দিয়ে তাঁর বাড়ি সাজান। আলোকসজ্জা ও আনন্দের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন গাছটি। শুধু তা-ই নয়, পরিবারের সদস্যদের জন্য ঘর প্রস্তুত করেন; যারা প্রতিবছর বড়দিনে আসেন। মিষ্টান্নসহ নানা রকম মুখরোচক খাবার তৈরি করেন। নাতি-নাতনিদের জন্য ক্রিসমাস ট্রির নিচে উপহারগুলো রাখেন। কিন্তু এবার তিনি কিছুই করেননি।
তিনি জানান, এ বছর তাঁর বাড়িতে কেউ আসেনি। এমনকি বাচ্চারাও উদযাপন করতে চায় না।
Posted ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin