ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনিকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সপ্তাহের শুরুতে এ ব্যাপারে গুঞ্জন শুরু হয়। এখন এটিই সত্য হতে যাচ্ছে।

এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক বৈঠকে সেনাপ্রধান জালুঝনিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, তিনি তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবেন। ওই সময় জেনারেল জালুঝনিকে অন্য জায়গায় পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন জেলেনস্কি। কিন্তু তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করেন।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে ইউক্রেনে জেলেনস্কির চেয়েও বেশি জনপ্রিয় জেনারেল জালুঝনি। সম্প্রতি চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে— যদি এ মুহূর্তে ইউক্রেনে নির্বাচন হয়; তাহলে এতে জালুঝনির কাছে হারবেন জেলেনস্কি। গত কয়েক মাস ধরে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে সেটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। এরপর নভেম্বরে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল জালুঝনি বলেন, যুদ্ধ অচলাবস্থায় চলে যাচ্ছে।

শীর্ষ এ জেনারেল সাক্ষাৎকারে এমন বক্তব্য দেওয়ার পর সেটি প্রত্যাখ্যান করেন জেলেনস্কি। এছাড়া সামরিক বাহিনীতে সেনা নেয়া নিয়েও রাজনৈতিক ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিবাদ দেখা দিয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে আরো জানিয়েছে, জেলেনস্কি জেনারেল জালুঝনিকে বলেছেন, সাধারণ ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া পশ্চিমা মিত্ররাও আগের মতো অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের ক্লান্তভাব কাটাতে এবং অস্ত্র সহায়তায় গতি আনতে সেনাবাহিনীতে ব্যাপক রদবদল প্রয়োজন।