নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
মেডিকেল কলেজের ভর্তির কোটা আরো ২ হাজার অর্থাৎ ৬০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। দেশটির সরকারের এই পরিকল্পনা ঘিরে শুরু হয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলন। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। যা নিয়ে রাজধানী সিউলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনেও এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন কোরিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (কেএমএ) চিকিৎসকরা।
বিক্ষোভ থেকে তারা হুঁশিয়ার দিয়েছেন, যদি কোটা বৃদ্ধি করা হয় তাহলে ডাক্তার ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থীরা একসাথে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে তাদের পদত্যাগ জমা এবং মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।
মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আরো হুমকি দিয়েছে, সরকার ইন্টার্নদের হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখলে তারা আইনি পদক্ষেপ নিবে এবং অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যেতে পারে।
এরই মধ্যে দেশব্যাপী ৪০টি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিরা তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ১৩ হাজার জুনিয়র ডাক্তার রয়েছে, যার মধ্যে ২ হাজার ৭৪৫টি বড় পাঁচটি হাসপাতালে রয়েছে।
সিউলের বড় পাঁচটি হাসপাতাল, সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, সিউল আসান মেডিকেল সেন্টার, স্যামসাং মেডিকেল সেন্টার, সেভারেন্স হাসপাতাল এবং সিউল সেন্ট্রাল মেরি হাসপাতালের প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তাররা সোমবারের মধ্যে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিবেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে সরকার ঘোষনা দিয়েছে, কোটি বৃদ্ধির বিরোধীতা করে কেউ যদি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ২৩টি হাসপাতালের ৭১৫জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, স্থানীয় চিকিৎসা আইনের অধীনে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার আদেশ মানতে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকরা ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি পাবেন। তাছাড়াও ডাক্তারদের লাইসেন্স প্রত্যাহার করার ক্ষমতাও সরকারের রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, জাপান টাইমস
Posted ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin