নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৩৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আরো এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সেনার নাম সার্জেন্ট সিমোন স্লোমোভ, বয়স ২০ বছর।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা লোকজনকে মুক্তি দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে ইসরায়েল। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলেছেন, হামাস যদি এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয় তবে রাফায় তীব্র আক্রমণ চালানো হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মিদের কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। নাসের হাসপাতালে তাদের অভিযানকে সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হিসাবে বর্ণনা করেছে আইডিএফ। ইসরায়েলের দাবি ওই হাসপাতালকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করছে হামাস।
রোববার ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গান্তজ এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই জানতে হবে এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জানা উচিত যে, যদি রমজানের মধ্যে আমাদের জিম্মিরা বাড়ি ফিরতে না পারে তবে রাফাসহ সর্বত্র তীব্র লড়াই চলবে।
চলতি বছরের ১০ মার্চ গাজায় রমজান শুরু হচ্ছে। ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে কমপক্ষে ১২০০ জন নিহত এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়। হামাসের হাতে এখনও প্রায় ১৩০ জন জিম্মি বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
Posted ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin