শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাসের ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

হামাসের ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। নিহত ওই কমান্ডারের নাম মারওয়ান ইসা। তিনি হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

 

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ইসরায়েলি হামলায় তিনি নিহত হন। বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার মারওয়ান ইসা চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন। অবশ্য গাজা উপত্যকা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

 

মঙ্গলবার এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইসরায়েলের রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘আমরা সমস্ত গোয়েন্দা তথ্য যাচাই করেছি’। তিনি বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আমরা যে হামলা চালিয়েছিলাম তাতে মারওয়ান ইসাকে হত্যা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য গত সপ্তাহে ঘোষণা করে, ইসরায়েলি হামলায় ইসা নিহত হয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল গতকালের আগ পর্যন্ত তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, তারা ৯-১০ মার্চ মধ্য গাজার একটি ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ডে বিমান হামলার সময় ইসাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। ইসা হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের ডেপুটি ছিলেন।

গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা এবং গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার কথিত মাস্টারমাইন্ড হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। সিনওয়ার এবং দেইফ উভয়েই জীবিত এবং তারা গাজায় অবস্থান করছেন বলে মনে করা হয় এবং ইসরায়েল তাদের হত্যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, কিন্তু তাদের দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেয়নি।

আল জাজিরার হামদাহ সালহুত অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা তাদের আক্রমণের শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা ‘সমস্ত হামাস নেতৃত্ব এবং ময়দানে থাকা প্রতিটি হামাস যোদ্ধাকে খুঁজে বের করে হত্যা করবে’।

সালহুত বলেন, ‘এটা শুধু গাজাতেই হবে না। এটি সারা বিশ্বে এবং লেবানন, তুরস্ক এবং কাতারের মতো দেশগুলোতেও হতে চলেছে।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:১০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(219 বার পঠিত)
(198 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]