নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
সম্প্রতি পাকিস্তানে চলছে ভয়াবহ রাজনৈতিক অস্থিরতা। এরই মধ্যে ইমরানের গ্যেফতারকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পরে। এই সহিংসতার বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের বিভিন্ন নেতারা গ্রেফতার হন এবং পিটিআই তে না থাকার আশ্বাস দেন।
এই ঘটনার জেরে ইমরান খান দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে সংলাপে বসতে চেয়েছেন। এই সমস্যার সমাধানে পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে ইমরান খানের সংলাপ খুবই জরুরি।
শুক্রবার ইউটিউব লাইভে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি (সরকারের সঙ্গে) আলোচনায় বসতে চাই এবং তা যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। পাকিস্তান নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে এবং বর্তমানে দেশে যা চলছে, তা কোনো সমাধান তো নয়ই, উল্টো দেশকে আরো বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ের পর সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এককালের সফল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং তার মধ্যেই গতবছর পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন পিটিআই চেয়ারম্যান।
ক্ষমতা হারানোর জন্য ইমরান খান বরাবরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ জেনারেলকে দায়ী করেছেন। তবে দেশটির ক্ষমতা কাঠামোর শীর্ষে থাকা সামরিক বাহিনী বরাবরই তার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে আলোচিত আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর তার দল পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং সেই বিক্ষোভে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন সেনানিবাস ও সেনাদপ্তরে হামলা হয়।
এই ঘটনার পর হামলায় সংশ্লিষ্টদের ধরতে দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সামরিক বাহিনী। এর মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে পিটিআই ত্যাগ করছেন একের পর এক শীর্ষ ও মধ্যমসারির নেতা। গ্রেপ্তারের আতঙ্কে অনেক কর্মী-সমর্থকও গা-ঢাকা দিয়েছেন।
Posted ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin