নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
চলতি ডিসেম্বরে চীনে আবার শুরু হয়েছে করোনার সুনামি। তাই দেশটি থেকে আসা যাত্রীদের জন্য করোনার কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও ইতালি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ফ্রান্স, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েল।
শুক্রবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, চীন থেকে ফ্রান্সের আসতে ইচ্ছুক যাত্রীদেকে অবশ্যই বিমানে ওঠার অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে এবং ফ্রান্সের বিমানবন্দরে সেই টেস্ট প্রদর্শন করতে হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ম কার্যকর করা হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কেবলমাত্র করোনা নেগেটিভ সনদধারী যাত্রীদের এয়ারপোর্ট থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
একইদিন স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যারোলিনা দারিয়াস সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১ জনুয়ারি থেকে চীন থেকে আগত সব যাত্রীকে অবশ্যই স্পেনের বিমানবন্দরে নামার পর বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করাতে হবে। তবে যেসব যাত্রী স্পেনের সরকারের স্বীকৃত করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, এক্ষেত্রে তারা ছাড় পাবেন।
শুক্রবার এক সরকারি বিবৃতিতে চীনের যাত্রীদের জন্য একই নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাজ্যও।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়া এসে পৌঁছানো সব যাত্রীকে অবশ্যই করোন নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে হবে ও বিমানবন্দরে নামার পর ফের করোনার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
এদিকে, যেসব বিমান পরিষেবা সংস্থা চীন-ইসরায়েল রুটে যাত্রীসেবা প্রদান করে, সেসব সংস্থার উদ্দেশে শুক্রবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলের সরকার। সেখানে বলা হয়, চীনের যেসব যাত্রী করোনার নেগেটিভ পিসিআর রিপোর্ট প্রদর্শনে ব্যর্থ হবেন, তাদের যেন বিমানে উঠতে না দেওয়া হয়।
জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, কোনো বিশেষ দেশের যাত্রীদের জন্য বিধি-নিষেধ কঠোর করার পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
Posted ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin