সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাতাল অবস্থায় রোজ চলত মারধর, রেগে গিয়ে যা করলেন পঞ্চম স্ত্রী!

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

মাতাল অবস্থায় রোজ চলত মারধর, রেগে গিয়ে যা করলেন পঞ্চম স্ত্রী!

দিনের পর দিন মাতাল স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ ওঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলিতে ঘটেছে এ ঘটনা। নিহতের নাম বীরেন্দ্র গুর্জর। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম কাঞ্চন গুর্জর।

পুলিশ সূত্রে খবর, বীরেন্দ্রর পঞ্চম স্ত্রী ছিলেন কাঞ্চন। এর আগেও বীরেন্দ্রের হাতে হয়রানির শিকার হয়ে চার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রর দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে যে, গলা এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরুণ পাণ্ডে জানান, বীরেন্দ্রর স্ত্রী-ই থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার মামলা দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের বেশ কয়েক জন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর স্ত্রী কাঞ্চনের উপরেও সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কাঞ্চন পুলিশকে জানান, তার স্বামী বীরেন্দ্র পানাসক্ত ছিলেন এবং মাতাল অবস্থায় তাকে প্রতিনিয়ত মারধর করতেন। আর সেই কারণেই, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি স্বামীর খাবারে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর যৌনাঙ্গ এবং গলায় কুড়ুলের কোপ মেরে খুন করেন। খুনের পর কাঞ্চন স্বামীর লাশ কাপড়ে মুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। প্রমাণ নষ্ট করতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নিহতের জামাকাপড় ও স্যান্ডেল।

কাঞ্চনের স্বীকারোক্তির পরেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(226 বার পঠিত)
(203 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]