নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
মার্কিন সিনেটে মঙ্গলবার একটি দ্বিদলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় চীন চরম আগ্রাসনের নীতি নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুদের পাশে আছে এবং তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালাবে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে এই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দেশ মনে করে এবং তার পাশে আছে।
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভারতের অরুণাচল সীমান্তে চীন দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা তৈরি করছে। বারবার সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে, সামরিক কাঠামো তৈরি করে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এর তীব্র নিন্দা করে। যুক্তরাষ্ট্র ম্যাকমোহন লাইনকে স্বীকৃতি দেয় এবং মনে করে, অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
একদিকে লাদাখ এবং অন্যদিকে অরুণাচল, তিব্বতের সঙ্গে ভারতের এই দুই সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের সংঘাত। একাধিকবার এ দুই এলাকায় স্ট্যান্ড অফ হয়েছে।
এবার যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল। বস্তুত যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে পরমাণু অস্ত্রের সাবমেরিন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জোটবদ্ধ অবস্থানের কথাও বলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অরুণাচল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
Posted ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin