নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
আর মাত্র একদিন। শনিবার (৬ মে) অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক। তবে রাজ্যাভিষেকের ঠিক ব্রিটিশ রাজমুকুটে থাকা ‘আফ্রিকার তারা’ বা স্টার অব আফ্রিকা নামের হীরা ফেরত চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
১৯০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কালিনান-১ নামে পরিচিত ৫৩০ ক্যারাটের হীরাটি আবিষ্কৃত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খনি থেকে। সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন উপনিবেশিক সরকার হীরাটিকে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে উপহার হিসেবে দেয়।
এতদিন পর উপনিবেশিক শাসক দেশগুলো দ্বারা উপনিবেশ থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম ও প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু ফেরত চাওয়ার রমরমা এই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু নাগরিক কালিনান-১ হীরাটি ফেরত চাইছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গের একজন আইনজীবী, অধিকারকর্মী এবং কালিনান-১ সহ অন্যান্য হীরা ফেরত চাওয়া আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা মথুসি কামাঙ্গা বলেন, ‘হীরাটিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে আসতে হবে। এটি আমাদের গর্ব, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের সংস্কৃতির নিদর্শন হওয়া উচিত।’
কামাঙ্গা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আফ্রিকান জনগণ বুঝতে শুরু করেছে যে, উপনিবেশিক শাসন শেষ করা মানে কেবল মানুষকে নির্দিষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া নয়। পাশাপাশি আমাদের কাছ থেকে যা কেড়ে নেওয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে নেওয়াও।’
কামাঙ্গা এবং তার অন্যান্য সহকর্মীরা মিলে কালিনান-১ হীরাটি ব্রিটিশ রাজমুকুট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত আনতে এরই মধ্যে ৮ হাজার সই সংগ্রহ করেছেন। উল্লেখ্য, কালিনান মূলত ৩ হাজার ১০০ ক্যারাট ওজনের একটি আনকাট হীরা থেকে কেটে বের করা বিশেষ হীরা। যা ১৯০৫ সালে প্রিটোরিয়ার একটি খনি থেকে উত্তোলন করা হয়েছিল।
রাজমুকুট থেকে হীরা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জোহানসবার্গের অধিবাসী মোহামেদ আব্দুলাহি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এটিকে ফিরিয়ে আনা উচিত। কারণ, তারা আমাদের উপর অত্যাচার করার সময় এটি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।’
আবার অনেকে এই হীরা ফেরত আনার বিষয়টি নিয়ে ততটা আগ্রহী নন। বিরুদ্ধ মত পোষণও করেন অনেকে। তাদের মত, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে। এখন আর এসব বিষয় নিয়ে মাতামাতি করার কোনো মানে হয় না।
Posted ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin