নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
কয়েকদিন ধরেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝড়ের আশঙ্কায় দেশের বহু এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমার। এছাড়া দেশটির উপকূলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে। বর্তমানে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আর এর জেরে সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে বিমান চলাচল। রোববার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ।
এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কাছে এগিয়ে আসার সাথে সাথে প্রাদেশিক রাজধানী সিট্যুয়ে এবং দক্ষিণাঞ্চলের থান্ডওয়েতে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।
রোববার (১৪ মে) আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সিট্যুয়ের প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রাখাইন উপকূলীয় কিয়াওকফিউ শহরের মধ্যে আঁছড়ে পড়বে পূর্বাভাসকারীরা জানিয়েছেন।
জুম আর্থ ওয়েবসাইট অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার সকালে প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ১৬১ মাইল) বেগে বাতাস বইছিল।
সিট্যুয়ে শহরের বহু বাসিন্দা গত দুই দিনে উচু এলাকার দিকে রওনা হয়েছেন, তবে রোববার সকালেও অনেক মানুষকে শহরে দেখা গেছে। মিয়ানমার এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, রাখাইন প্রদেশে তাদের সব ফ্লাইট সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, শক্তিশালী বাতাসে সিট্যুয়েতে বেশ কয়েকটি গাছ এবং বাড়ির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিট্যুয়ে থেকে ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে গওয়া শহরের একটি গ্রামে রোববার সকালে প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসে কয়েকটি বিদ্যুতের পোস্ট এবং বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র: মিয়ানমার নাউ
Posted ৬:১২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin