শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্নাটকে বাতিল হচ্ছে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

কর্নাটকে বাতিল হচ্ছে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকে ক্ষমতা এসেছে কংগ্রেস সরকার। এই রাজ্যে বিজেপি সরকারের সময় হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞাকে বাতিল করল কংগ্রেস সরকার।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকে সদ্য ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকার জানিয়েছে, তারা বিগত বিজেপি সরকারের আনা বেশ কিছু বিতর্কিত বিল প্রত্যাহার করতে চায় – যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার মতো পদক্ষেপও আছে।

এছাড়া ওই রাজ্যে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী বিল, গোহত্যা বিরোধী বিল-সহ যে সব আইন নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক হয়েছে, সেগুলোও তুলে নেওয়ার কথা হচ্ছে। সমালোচিত এই বিলগুলো খুব শিঘ্রই বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

হিজাব-বিরোধী বিলসহ যে তিনটি আইন নিয়ে কর্নাটকে এখন আবার আলোচনা হচ্ছে, সেগুলোকে ওই রাজ্যে বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ হিসেবেই এতদিন দেখা হয়ে এসেছে।

পর্যবেক্ষকরা অনেকেই মনে করেন, কর্নাটককে বিজেপি তাদের ‘হিন্দুত্ব এক্সপেরিমেন্টে’র নতুন পরীক্ষাগার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল এবং সেই প্রচেষ্টায় বড় হাতিয়ার ছিল এই তিনটি বিল।

সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফলে অবশ্য দেখা গেছে, কর্নাটকে বিজেপির সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা রাজনৈতিকভাবে সফল হয়নি – কংগ্রেসের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে তারা রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়েছে।

হায়দ্রাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আবার কর্নাটক সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি হিজাব নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ অসাংবিধানিক, এবং সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অন্তত দু’জন বিচারপতিও সে কথা মেনে নিয়েছিলেন।’

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কর্নাটকের উদুপিতে একটি কলেজের মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে ক্লাসে আসার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা দিলে গোটা রাজ্যজুড়ে হিজাবকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।

এরপর কর্নাটকের তৎকালীন বাসবরাজ বোম্মাই সরকার স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করত আইন আনে, যা নিয়ে সারা ভারতেই তীব্র বিতর্ক হয়েছিল।

এ ছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই রাজ্যের বিজেপি সরকার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা বিল-২০২১’ নামেও একটি আইন প্রণয়ন করে, যেটি ‘ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল’ নামেই বেশি পরিচিত।

সরকার তখন যুক্তি দিয়েছিল, জোর করে, লোভ দেখিয়ে বা জালিয়াতি করে যাতে কাউকে ধর্মান্তরিত না-করা যায় সে জন্যই ওই বিল আনা হয়েছে এবং দোষীদের দশ বছর পর্যন্ত জেল ও এক লাখ রুপি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:১৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(235 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]