বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০০ বছরে এমন তাপমাত্রা দেখেনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট

২০০ বছরে এমন তাপমাত্রা দেখেনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে গত ২০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপদাহ। রেকর্ড তাপে পুড়ছে এ অঞ্চলের পর্যটনের হটস্পট থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। মানুষ, পশু-পাখির প্রাণ ওষ্ঠাগত। একই অবস্থা মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া ও লাওসে। উচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। অসহ্য গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা সাধারণ মানুষের।

আগে মোটর-চালিত সাইকেল মোপেডসে চেপে ১২ ঘণ্টা হ্যানয়ের বিভিন্ন স্পটে খাবার, পার্সেল পৌছে দিতে পারতেন ৪২ বছর বয়সী পোঙ। চলমান তাপদাহের কারণে গত দু`মাস তিনি আর মোপেডস চালাতে পারছেন না। সেখানকার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েও আর সুস্থ থাকতে পারছেন না তিনি। এ সময়তে হ্যানয়ে গড় তাপমাত্রা থাকার কথা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হ্যানয় শহরের ডং ডা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন দিন ভান হাং (৫৩)। দিনভর ব্যস্ত সড়কের আবর্জনা পরিষ্কার করেন তিনি। দিন ভান বলেন, ‘দুপুর আর বিকেলের প্রথম প্রহরে খরতাপ এড়ানো সম্ভব নয়। অতি তাপমাত্রায় আবর্জনা থেকে অসহ্য গন্ধ ছড়ায়। আমার কাজ এখন আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। আমি ও অন্যান্য শ্রমিকের স্বাস্থ্যের ওপর গরমের বিরূপ প্রভাব পড়ছে।’

দিন ভান আরো বলেন, ‘আমি খুব সকালে এবং বিকেলে বা সন্ধ্যায় কাজ শুরুর চেষ্টা করি। দুপুরে যখন তাপমাত্রা ভয়াবহ মাত্রায় থাকে, তখন ফুটপাতে ছায়ায় ঝিরিয়ে নিই। এরপর বিকেলে আবার কাজ শুরু করি।’

ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় ফোঙ আর দিন ভান হচ্ছেন লাখ লাখ চালক, হকার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নির্মাণশ্রমিক, কৃষকসহ খোলা আকাশে কাজ করা মানুষের প্রতিচ্ছবি। তাঁদের রেকর্ড দাবদাহের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

এসব শ্রমিক এমন বিরূপ আবহাওয়ায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ভয়াবহ মাত্রার গরম তাঁদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং ইতিমধ্যে তাদের পেশাকে বিপজ্জনক করে তুলেছে।

সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি গরম অনুভূত হয়। মৌসুমি বৃষ্টি শুরুর আগে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশ বাড়ে। কিন্তু এবার তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এতে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের পর্যটনশিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জলবায়ু নিয়ে কাজ করা ম্যাক্সিমিলানো হেরেরা আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছেন, থাইল্যান্ডে গত ১৫ এপ্রিল সে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা ছিল। একইভাবে প্রতিবেশী দেশ লাওসে মে মাসে পর পর দুই দিন ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর মে মাসের শুরুর দিকে তো ভিয়েতনামে সে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল, যার মাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হেরেরা এই পরিস্থিতিকে ‘অন্তহীন নৃশংসতম দাবদাহ’ বলে বর্ণনা করেন। তার অনুমান, জুন মাসজুড়ে এই দাবদাহ চলবে। ভিয়েতনাম ১ জুন তাদের ইতিহাসে উষ্ণতম (৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) জুনের রেকর্ড ভেঙেছে। বাকি ২৯ দিন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।

বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক জোট ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের (ডব্লিউডব্লিউএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় যে দাবদাহ চলছে, এমনটি ২০০ বছরে একবার দেখা যায়। তবে মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া এমন পরিস্থিতি ‘কার্যত অসম্ভব’।

আর্দ্রতায় ক্ষতি আরো বেশি

উচ্চমাত্রার আর্দ্রতার কারণে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় এই ঝলসানো তাপ আরও বেশি অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্রতা মানুষের দেহে তাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং সহজে দেহ শীতল হয় না।

গরমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক, অবসাদ ভালো কোনো লক্ষণ নয়। এতে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী, হৃদ্‌রোগী, কিডনি রোগী এবং ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মরিয়াম জাকারিয়া বলেন, আশপাশে আর্দ্রতা যখন খুব বেশি থাকে, তখন শরীর নিজেকে শীতল করতে ঘাম ছাড়তে থাকে। কিন্তু ঘাম বাষ্পীভূত না হওয়ার কারণে শরীরে ভয়াবহ পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এটা তীব্র আকার ধারণ করলে হিট স্ট্রোক এমনকি মৃত্যু হতে পারে। এ কারণে শুষ্ক তাপমাত্রার চেয়ে আর্দ্রতাপূর্ণ তাপ অনেক বেশি ভয়ংকর।

আর্দ্র তাপে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বুঝতে বিজ্ঞানীরা সাধারণত ‘ফিলস–লাইক’ (যে পরিমাণ অনুভূত) তাপমাত্রার হিসাব করেন। এতে তাপমাত্রা কেমন অনুভূত হচ্ছে, সেটার হিসাব করতে তাঁরা তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা—দুটিকেই হিসাবের মধ্যে আনেন। বাতাসের গতিবেগকেও অনেক সময় বিবেচনায় নেয়া হয়।

স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে অনেক সময় অনুভূত তাপমাত্রা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এটা মানুষের দেহে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, অনুভূত তাপমাত্রা থেকে এর অনেক বেশি সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।

কোপারনিকাস জলবায়ু পরিবর্তন সেবার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশ (থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমার) এপ্রিলের শুরু এবং মে মাসের শেষের দিকে প্রতিদিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। এই মাত্রাকে বিপৎসীমার ওপরে গণ্য করা হয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে এবং এমন গরমে অভ্যস্ত নয়—এমন ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।

থাইল্যান্ডে এপ্রিলের ২০ দিন এবং মে মাসের ১০ দিন অনুভূত তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। এই পর্যায়ের তাপমাত্রা বেশ ‘চরম’ এবং এটাকে জীবনের জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর সঙ্গে আর্দ্রতা থাকলে তো কথাই নেই।

এপ্রিল–মে মাসজুড়ে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ও মালয়েশিয়ায় চরম তাপমাত্রা ছিল। ঘূর্ণিঝড় মোখার আগে মিয়ানমারে ১২ দিন প্রায় কাছাকাছি দাবদাহ ছিল।

ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের তথ্যমতে, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় এপ্রিল–মে মাসে দাবদাহে মানুষ অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি সড়কে ক্ষতি

হয়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, বিদ্যালয় বন্ধ হয়। অবশ্য এতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি।

সংস্থাটির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে অনুভূত তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বেশি থাকে।

ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের লেখকদের একজন মরিয়াম জাকারিয়া বলেন, বায়ুমণ্ডল উষ্ণতর হলে এর আর্দ্রতা ধারণের ক্ষমতা বেড়ে যায়। এতে আর্দ্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আর্দ্র তাপমাত্রা ১০ গুণ বাড়তে পারে।

জাতিসংঘের হিউম্যান ক্লাইমেট হোরাইজনসের প্রক্ষেপণ বলছে, এভাবে একই গতিতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে থাইল্যান্ডে দুই দশক পর দাবদাহে প্রতি ১০ লাখে ৩০ জন এবং চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ লাখে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৩০ এবং ৫২০ এবং কম্বোডিয়ায় যথাক্রমে ৪০ এবং ২৭০ জন হবে।

চরম তাপমাত্রায় গরিব ও অরক্ষিত মানুষের ক্ষতি বেশি

থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ইউনিভার্সিটির ভূগোলের প্রভাষক ও ডব্লিউডব্লিউএর লেখক ছায়া ভাদ্দনাফুতি বলেন, ‘পেশা, বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা ও প্রতিবন্ধিতা, স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা, আর্থসামাজিক অবস্থা, এমনকি লিঙ্গ—এসব বিষয় দাবদাহে মানুষকে কমবেশি অরক্ষিত করে তোলে।

সমাজের প্রান্তিক সদস্য, যাদের স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া বা শীতল বায়ু পাওয়ার সক্ষমতা নেই এবং যেসব মানুষ খোলা আকাশে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় কাজ করেন, তারাই সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন।

২০১৮ সালের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ অনানুষ্ঠানিক কাজ করেন। কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে এই হার ৮০ শতাংশ।

ঘরে থাকার পরামর্শ

এপ্রিলের শেষ দিকে থাই স্বাস্থ্য বিভাগ দাবদাহ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল। এতে হিট স্ট্রোকের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে রাজধানী ব্যাংকক ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে দাবদাহকালে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে সুপোত ক্লংসাপ নুইয়ের মতো অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ঘরে থাকাটা কোনো বিকল্প নয়। তিনি নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাড়ি থেকে ব্যাংককে এসেছেন। তিনি বলেন, এবার খুব গরম, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার আলাদা।

নুই বলেন, তিনিসহ নির্মাণশ্রমিকেরা সাধারণত পাশে দেয়াল ও টিনের চাল দেওয়া ঘরে থাকেন। এ ধরনের ঘর গরম থেকে রক্ষা করে না। শীতাতপ ঘরে থাকার মতো তাঁর সামর্থ্য নেই।

২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যারা ঘরে কাজ করেন, তাদের চেয়ে যারা বাইরে কাজ করেন, তাদের দেহের তাপমাত্রা বেশি। তারা দুই বা তিন গুণ বেশি পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে থাকেন। এতে তাঁর কিডনিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

জীবন–জীবিকায় হুমকি

অতিমাত্রায় দাবদাহ শুধু ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। বরং এটা পরিবেশ ও মানুষের জীবন–জীবিকার জন্যও হুমকি তৈরি করে। বায়ুমানের ক্ষতি করে, শস্য ধ্বংস করে, দাবানলের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অবকাঠামোর ক্ষতিসাধন করে। সুতরাং দাবদাহের সময় যেকোনো সরকারের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা অত্যন্ত জরুরি।

লাওসের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ইয়োতপিং ও ফোন গ্রামের মানুষের জীবন–জীবিকা আবহাওয়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। চা–শিল্প ঘিরে এখানকার গ্রামবাসীর জীবিকা আবর্তিত হয়। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁরা চা–পাতা তোলেন। কিন্তু চলতি বছর অত্যধিক গরমের কারণে সকালে তাঁরা কাজ করতে পারেননি। এ সময়ে তাঁদের বিকেলে কাজ করতে হয়েছে। এতে তাঁরা চা–পাতা সংগ্রহের পরিমাণ নিয়ে চিন্তায় আছেন। কারণ, তাঁদের কাজের পরিমাণ কমে গেছে। এতে আয়ও কমে গেছে।

লাও ফার্মার নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা চিন্তানাফোন কেওবিচিথ বলেন, এ বছর খুবই গরম। কৃষকেরা এখন গরমের সঙ্গে সংগ্রাম করছেন।

চা কৃষক বোয়া সেং বলেন, গতবারের চেয়ে এ বছর অনেক বেশি গরম। এতে চা–পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে।

এক হাজার বছরের পুরোনো চা প্রক্রিয়াজাত কারখানার ব্যবস্থাপক ভিং সামাই লবিয়া ইয়াও বলেন, চলতি বছর গরমের কারণে যথেষ্ট পরিমাণ চা–পাতা উৎপাদিত হবে না। এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ উৎপাদন কম হবে।

বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই গ্রহের উষ্ণতা ও দূষণ কমানো সম্ভব নয়। জলবায়ু সংকট যত বাড়বে, ব্যক্তি, সমাজ, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে ততই চড়া মূল্য দিতে হবে।

মে মাস শেষে জুন মাস শুরু হয়ে গেছে। অনেকে এখনো স্বস্তির আশায় দিন গুনছেন। চিন্তানাফোন বলেন, ‘মে মাস ছিল সবচেয়ে ভয়ানক এক মাস। এই মাসে সাধারণত বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এ বছর এখনো বৃষ্টি এল না।’

সূত্র: সিএনএন

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(229 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]