বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ ডুবোজাহাজ, অবশিষ্ট আছে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট

উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ ডুবোজাহাজ, অবশিষ্ট আছে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে একটি ডুবোযান নিখোঁজ হয়েছে। এটি পর্যটকদের সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। ঘটনার পর পরই আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে নিঁখোজ ডুবোযানের জন্য বড় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। ডুবোযানটি ‘ওশানগেট’ কম্পানির ‘টাইটান সাবমার্সিবল’ বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় সোমবার এ ঘটনা ঘটে। পাঁচজন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয় এটি। মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ডুবে যাওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ছোট এই ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্যুর ফার্ম ‘ওশানগেট’ জানিয়েছে, সেখানে থাকা পাঁচ জনকে উদ্ধারের জন্য সমস্ত বিকল্প পথ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সেন্ট জনস, নিউফাউন্ডল্যান্ডের প্রায় ৪৩৫ মাইল (৭০০ কিমি) দক্ষিণে অবস্থিত। যদিও উদ্ধার অভিযান বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস থেকে চালানো হচ্ছে। এটি একটি ট্রাক আকারের ডুবোযান যাতে, ৫ জন যাত্রী ভ্রমন করতে পারে এবং সাধারণত ৪ দিনের জন্য জরুরি অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা থাকে।

এদিকে সোমবার বিকেলে মার্কিন কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডএম জন মাগার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা ধারণা করছি আমাদের হাতে ৭০ ( অক্সিজেন) ঘণ্টা এবং সর্বমোট ৯৬ ঘণ্টা সময় আছে।

তিনি আরো বলেন, দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন এবং একটি জাহাজটি অনুসন্ধানের কাজ করছে। কিন্তু অনুসন্ধান চলানো এলাকাটি বেশ দূরে হওয়ায় উদ্ধার অভিযান কঠিন করে তুলেছে। রিয়ার অ্যাডএম মাগার বলেছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো খুব গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখছে এবং সাবমেরিনে থাকা মানুষগুলোকে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

হামিশ হার্ডিং নামের ৫৮ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ ধনকুবের ব্যবসায়ী, ওই নিখোঁজ সাবমেরিনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।

তার পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সপ্তাহান্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হার্ডিং বলেছিল, ‘অবশেষে ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত’ যে, তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছেন।

তিনি যোগ করে বলেছিলেন, এই মিশনটি সম্ভবত ২০২৩ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার প্রথম এবং একমাত্র মনুষ্যবাহী মিশন।

তিনি পরে আরো লিখেছিলেন, একটি আবহাওয়ার জানালা সবেমাত্র খোলা হয়েছে এবং আমরা আগামীকাল ডুব দেওয়ার চেষ্টা করতে যাচ্ছি।

ট্যুর ফার্ম ওশানগেট জানিয়েছে, আমাদের পুরো নজর ডুবোজাহাজের ক্রু সদস্য এবং তাদের পরিবারের ওপর আছে। সাবমার্সিবলের (ডুবোযান) সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা এবং গভীর সমুদ্রে বানিজ্য করা কোম্পানিগুলোর কাছ যে ব্যাপক সহায়তা পেয়েছি, তার জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

কোম্পানিটি তার কার্বন-ফাইবার সাবমারসিবলে আট দিনের এই ভ্রমনটিকে দৈনন্দিন জীবনের বাইরে পা রাখার এবং সত্যিই অসাধারণ কিছু আবিষ্কার করার সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছে। ওশানগেটের এর ওয়েবসাইট অনুসারে, একটি অভিযান চলমান রয়েছে এবং ২০২৪ সালের জুনের জন্য আরো দুটির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই সাবমার্সিবলে ( ডুবোযান) সাধারণত একজন পাইলট, তিনজন যাত্রী থাকে এবং একজন ‘কন্টেন্ট এক্সপার্ট’থাকে। এটি নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে যাত্রা শুরু করে। পুরো ধ্বংসাবশেষটি ঘুরে দেখতে ৮দিন সময় লাগে। ওশানগেটের মালিকানাধীন তিনটি ‘সাবমার্সিবল’ রয়েছে। এগুলো শুধুমাত্র টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট গভীরে ডুব দিতে সক্ষম।

সাবমার্সিবলটির ( ডুবোযান) ওজন ২৩ হাজার পাউন্ড (১০,৪৩২ কেজি) এবং ওয়েবসাইট অনুসারে,১৩ হাজার ১০০ ফুট পর্যন্ত গভীরতায় পৌঁছাতে পারে এবং পাঁচজন ক্রুর জন্য ৯৬ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্ট দিতে পারে। ৩ হাজার ৮০০ মিটার (১২,৫০০ ফুট) গভীরে গিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গুনতে হয়, ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

সূত্র : বিবিসি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(229 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]