নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
সুচিকিৎসার জন্য ছয় মাসের সন্তানকে প্লেনে করে রাঁচি থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন মা। তবে প্লেনটি যখন মাঝ আকাশে, তখন শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাচ্ছে দেখে শিশুটিকে বাঁচাতে প্লেনে কোনো চিকিৎসক রয়েছেন কিনা তা মাইকে ঘোষণা দিয়ে জানতে চান বিমানবালা। সেই সময় এগিয়ে আসেন রাঁচির এক সরকারি চিকিৎসক ডা. নীতিন কুলকার্নি ও তার সঙ্গী ডা. মোজাম্মিল ফিরোজ। ফলে বিপদমুক্ত হয় শিশুটি। শনিবার সকালে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন রাঁচি-দিল্লি ইন্ডিগো প্লেনের যাত্রীরা।
ডা. কুলকার্নি জানান, প্লেনে শিশুদের জন্য অক্সিজেন মাস্ক ছিল না। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের মাস্ক দিয়েই শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। শিশুটির মেডিকেল রিপোর্ট দেখে জানা যায়, সে জন্মগতভাবে হার্টের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। শিশুটির শ্বাসকষ্টের জন্য তৎক্ষণাৎ বিশেষ ইঞ্জেকশনের দরকার ছিল। যার মধ্যে একটি শিশুটির মায়ের কাছে ছিল। সেই ইঞ্জেকশন শিশুটিকে দেন ডা. কুলকার্নি। সেটা সেই সময় ভীষণ কাজে এসেছিল বলে তিনি জানান।
অক্সিমিটার না থাকায় শিশুটির শরীরে অক্সিজেন কতটা রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। তবে নানাভাবে শিশুটিকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যান ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ। তাদের তৎপরতায় ধীরে-ধীরে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল হয় এবং স্টেথোস্কোপের তার হৃৎস্পন্দন ধরা পড়ে।
বিমানবালারাও নানাভাবে শিশুটির চিকিৎসায় সহায়তা করেছিলেন বলে জানান ডা. কুলকার্নি। তারপর সকাল ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ প্লেনটি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর শিশুটিকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে এইমস হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নানা চেষ্টায় শিশুটি বিপদমুক্ত হওয়ায় তারা খুশি বলে জানিয়েছেন ডা. কুলকার্নি।
সূত্র: টিভি৯বাংলা
Posted ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin