শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিকিমে বন্যায় নিহত ৩৮, লাশ ভেসে এল বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট

সিকিমে বন্যায় নিহত ৩৮, লাশ ভেসে এল বাংলাদেশে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৭৮ জন। বন্যায় নিহতদের লাশ ভেসে আসছে বাংলাদেশেও। এছাড়া ভেসে আসা মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।তিস্তার ভাটি এলাকা জলপাইগুড়ির গাজলডোবা, ময়নাগুড়ি ও কোতোয়ালিতে বেশিরভাগ মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া কোচবিহারের কুচলিবাড়ি ও হলদিবাড়ি, মিলনপল্লী ও শিলিগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়ও মরদেহ পাওয়া গেছে। কয়েকটি লাশ ভেসে এসেছে বাংলাদেশের গাইবান্ধাতেও। আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সেনাবাহিনী অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সদস্যের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করেনি।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় সিকিমে। ব্যাপক বর্ষণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ উপচে পড়ে। এতে অতিরিক্ত পানি তিস্তা নদীতে চলে আসায় হঠাৎ পানির স্তর বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

হঠাৎ বন্যার ঘটনায় সিকিম প্রশাসন সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, পানিতে ভেসে গেছে সড়ক। নদীতে জলোচ্ছ্বাসের মতো অবস্থা।

ভারতের আবহাওয়া অফিস সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গজলডোবা, দোমোহনী, মেখলিগঞ্জ এবং ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় এবং পানির স্তর স্বাভাবিক হয়ে আসার পরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় এবং টেলিকম অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ার কারণে উত্তর সিকিম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দুই কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সমতলে। বিপদ এড়াতে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়।

উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় বন্যার আশঙ্কা

সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর চুংথাং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপরে বইছে। পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:২৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(235 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]