সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় জরিমানার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মামলার বিচারকাজ চলমান থাকা অবস্থায় এক আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পোস্ট করার কারণে এ শাস্তির মুখে পড়তে হলো ট্রাম্পকে। খবর রয়টার্সের।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন। এ সময় বিচারক ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, এরপরও একই কাজ করলে তাঁকে এবার কারাগারে যেতে হতে পারে। বিচারকাজ চলার সময় এ নিয়ে কোনো কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ না করার ব্যাপারে আদালত আগেই আদেশ দিয়েছিলেন।নিউইয়র্কের আদালতে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা চলছে। ৩ অক্টোবর বিচারক আর্থার এনগোরোনের প্রধান আইন কর্মকর্তার (প্রিন্সিপাল ল ক্লার্ক) বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য ট্রুথ সোশ্যাল নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন ট্রাম্প। বিষয়টি আদালতের নজরে এলে ওই পোস্ট সরিয়ে নিতে বলা হয়।
ওই দিনই পোস্টটি সরিয়ে নেন ট্রাম্প। তবে শুক্রবার আদালত বলেন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের জন্য ট্রাম্প যে ওয়েবসাইট খুলেছেন, সেখানে ওই পোস্ট টানা ১৭ দিন ছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর ওয়েবসাইট থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
বিচারক আর্থার এনগোরোন বলেন, যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী আদালতে বলেছেন, এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। তবে এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন।
আদেশে বিচারক আর্থার বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ট্রাম্পকে নিউইয়র্ক ল ইয়ার্স ফান্ড ফর ক্লায়েন্ট প্রোটেকশনে জরিমানার পাঁচ হাজার ডলার জমা দিতে হবে। ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত হোক, এ কাজ আর করা যাবে না। এমন কাজ আবার করলে কারাগারে যেতে হতে পারে।
ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চান। আগামী বছর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই নানা ধরনের আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত হয়েছেন ফৌজদারি অপরাধেও।
