নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর সঙ্গে সপ্তাহখানেক আগে হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা উত্তর গাজা ঘিরে রেখেছে এবং ৭ অক্টোবর হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ১০ হামাস কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে। এ অর্জনকে চমৎকার সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, হামাসও ব্যাপক প্রস্তুতি ও দক্ষতার সঙ্গে এসব হামলা মোকাবিলা করছে। বলা যায়, এখন পর্যন্ত স্থল হামলা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ব্যাপক হামলা সত্ত্বেও হামাসের রকেট নিক্ষেপ অবকাঠামোর তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল। এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে গড়ে ১২টি করে রকেট ছুড়েছে হামাস। তবে গত শুক্রবার রকেটের সংখ্যা কমে ৯ হয়েছিল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থল হামলা শুরুর পর তাদের ৩২ সেনা নিহত হয়েছে। ফলে চলমান এ সংঘাতে তেল আবিবের নিহত সেনার সংখ্যা বেড়ে ৩৪৬ হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে হামাস জানিয়েছে। ইসরায়েলের ২৬০ সেনা আহত হয়েছে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি হিসেবে আছে ২৪২ জন বেসামরিক ব্যক্তি।
নতুন ধরনের হাইব্রিড যুদ্ধ
২৫ অক্টোবর হামাসকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করার অঙ্গীকার করেন নেতানিয়াহু। এর পর সীমিত আকারে উত্তর গাজায় স্থল হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। শুরুতে একটি সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন ও বুলডোজার নিয়ে হামলা চালায় তারা। পরে ২৮ অক্টোবর ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রার স্থল হামলা শুরু করে।
Posted ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin